বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাংলার হাইভোল্টেজ ভোটের মুখে এমন একটি খবর নানা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল এবং একাধিক বিরোধী দলও এনিয়ে নীতির রাজনীতির ধ্বজাধারী বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তবে বিষয়টি বিজেপি-বিরোধীদের আক্রমণে আর সীমাবদ্ধ নেই। গেরুয়া শিবিরকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন মাদক-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী স্বয়ং। শনিবার ধৃত নেত্রী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি চক্রান্তের শিকার তাঁর তর্জনীর লক্ষ্য, দলের এক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের ঘনিষ্ঠ এক নেতা! সেই তরুণ নেতা ধৃত মডেলের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তা সত্ত্বেও ওই তরুণ নেতার গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন ধৃত মডেল। অন্যদিকে, বিজেপির তরুণ নেতাটি বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ধৃত নেত্রী পুলিসি হেফাজতে থেকেও মিডিয়ার সামনে এসব কথা কী করে বলতে পারছেন! সোজা কথায়, মাদক পাচার কাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলায় বিজেপির ঘরেই জোর অশান্তি বেধেছে। অনুমান করা যায়, সময় ভোটের দিকে যত এগবে এই বিতর্ক ততই চড়া মাত্রা পাবে। দেশবাসীর অভিজ্ঞতা বলে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দোহাই পেড়ে অতীতে বহু অপরাধের ঘটনা থেকে রাজনীতিকরা বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছেন। সেই তুলনায় কারাদণ্ড ভোগের সংখ্যা নগণ্য।
তাই এই মামলার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম জল্পনা না করাই ভালো। প্রশাসনের উচিত, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা। তদন্ত ও বিচার দ্রুত শেষ করা। কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিবাদের মধ্যে পড়ে আইনি প্রক্রিয়া কোনওভাবেই যেন ব্যাহত না হয়। তাতে প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের ধারণা খারাপ হতে পারে। রাজনীতির বল্গাহীন দুর্নীতিকরণ এবং দুর্বৃত্তায়ন দেখে রাজনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যেই বিরূপ হয়ে উঠেছে। যুব সমাজের মধ্যে এই প্রবণতার পরিণাম কল্যাণকর নয়। দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারীরা যুব শ্রেণীর মধ্য থেকেই উঠে আসেন। প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা এবং রাজনীতির প্রতি আস্থা ফেরাতে হলে যে-কোনও গুরুতর অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার সম্পন্ন হওয়া দরকার।