বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আসলে জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধির অন্তরালে থাকা মোদি সরকারের গোপন কৌশলটি আর গোপন থাকল না। গত ২০ দিনের মধ্যে তিনবার বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। অতীতেও বারবার দেখা গেছে, বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম যখন নীচের দিকে নেমেছে তখনও মোদি সরকার পেট্রল-ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে সরকারের কোষাগারে বাড়তি অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেছে। লকডাউন উঠে গিয়ে গাড়ির চাকা ঘুরতেই এই প্রচেষ্টার শুরু। তাই ফের জ্বালানি তেলের আকাশছোঁয়া দামের কারণে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। তেলের দামের ধাক্কায় শুধু জিনিসপত্রের দামই বাড়বে না তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। এমনিতেই বহু মানুষের হাতে এখন নগদ টাকার অভাব। সেখানে মূল্যবৃদ্ধি আরও ঊর্ধ্বমুখী হলে নাজেহাল হতে হবে তাঁদেরই। তা নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই কেন্দ্রের সরকারের। তেলের উপর থেকে কর কমানোর জোরালো দাবি বারবার উঠলেও সে ব্যাপারে কর্ণপাত করতে তারা নারাজ। বরং কোষাগারে বাড়তি অর্থ আনার তাগিদেই শুল্ক আদায়ে অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। কোনও জনকল্যাণকামী সরকারের কাছ থেকে এমন মানসিকতা কাম্য নয়। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে জেনেও কর পুনর্গঠনের মাধ্যমে তেলের দাম কমানোর পথে হাঁটছে না তারা। কারণ এই সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষার কথা সেভাবে কখনও ভাবে না।
সত্যি বলতে কী, শীতের মরশুমে আনাজপাতির দাম একটু কম থাকায় মানুষের একটু সুবিধাই হচ্ছিল। কিন্তু নতুর বছরের শুরুতেই দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের সেই সুবিধা কতদিন স্থায়ী থাকবে বলা শক্ত। কারণ তেলের দাম বাড়লে বেড়ে যাবে পরিবহণ খরচ। পণ্য পরিবহণ খরচ বাড়লে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ফের বাড়বে জিনিসের দাম। তাই তেলের দর বৃদ্ধি নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। সরকারের সদিচ্ছাই পারে মানুষের এই দুশ্চিন্তা কাটাতে। পারে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে। দাম বৃদ্ধির হাত থেকে মানুষকে রেহাই দিতে আগ্রহী হলে তেলের দাম কমানোর জন্য কর পুনর্গঠনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে। নচেৎ শাসকের বিরুদ্ধে ওঠা ‘নির্দয়’ তকমাটি তাদেরই বহন করতে হবে।