বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এ গেল একটা দিক। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, মহামারী উপস্থিত হলে মানুষের লড়াইটা শুধু রোগ মোকাবিলায় সীমাবদ্ধ হয়ে যায় না। সামান্য সময়ের মধ্যে পুরো আর্থ-সামাজিক কাঠামোটা তছনছ হয়ে যায়। এটার পুনরুদ্ধারের লড়াইটা আরও কঠিন। বিশেষ করে জীবিকা। ভারতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কনস্ট্রাকশন সেক্টর। দক্ষ, আধাদক্ষ, অদক্ষ—এই তিন শ্রেণীর শ্রমিকেরই সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে এই ক্ষেত্র দু’টিতে। পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠার উপর এই দুই ক্ষেত্রের পুনরুজ্জীবন অনেকাংশে নির্ভর করছে। কিন্তু সেটা যতদিন না স্বাভাবিক হয় ততদিন বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই হবে। এক্ষেত্রে একশো দিনের কাজের প্রকল্প অবশ্যই একটি বড় হাতিয়ার। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রের। লাখো লাখো ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, ট্রেনিং, গবেষণা, চাকরি এবং নানা পেশায় যোগদান অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এগুলিকে বিকল্প উপায়ে চালিয়ে নিয়ে যেতে দরকার সর্বত্র বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা। কিন্তু, বাস্তবে সব জায়গায় তা অমিল। অতএব অসংখ্য ছেলেমেয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেও বিপুল অর্থের প্রয়োজন। সবার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের জোগানটাও নিশ্চিত করতে হবে। বিপুল অর্থের প্রয়োজন তার জন্যও।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গতভাবেই প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যুদ্ধ ভালোভাবে করতে হলে পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সেই অভাব দ্রুত মেটানো। কারণ, এ কোনও সুখের সময় নয়। এ কোনও উৎসবের মুহূর্ত নয়। শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথায় কোনও লাভ নেই। যে রোগের যে দাওয়াই সেটাই চাই। এ বড় দুঃসময়। একসঙ্গে একাধিক যুদ্ধ লড়ছে বাংলা। জয়ের জন্য কোনও কৌশলী রাজনৈতিক সরকারকে নয়, আন্তরিক এক কেন্দ্রকে পাশে পাওয়া দরকার।