মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ সম্প্রতি এক চিঠিতে এই বরাতের বিষয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডের কাছে নালিশ জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী খরিফ মরশুমের ফসলের জন্য জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১৭ লক্ষ গাঁট (প্রতি গাঁট ১৮০ কেজি) চটের বস্তা সরবরাহ করার কথা। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কথা ছিল ১১ লক্ষ গাঁট সরবরাহের। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যা হিসেব, তাতে সাকুল্যে ৯.৭০ লক্ষ গাঁটের বরাত তারা পেয়েছে। সূচি অগ্রাহ্য করে চলা এফসিআই এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে এব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিক মন্ত্রক।
আইজেএমএ কেন্দ্রকে যে হিসেব দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ গত তিন মাসে বরাদ্দ অনুযায়ী এক টাকারও বস্তা কেনেনি। এই তালিকায় রয়েছে ওড়িশাও। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, বিজেপি শাসিত আরও দুই রাজ্য কর্ণাটক ও ত্রিপুরা চটের বস্তার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। এফসিআইও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে রয়েছে অনেকটা। তবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রয়েছে। রাজ্যের খাদ্যদপ্তর আগামী দু’মাসে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেবে বলে কথা দিয়েছে।ওই চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে খাদ্যমন্ত্রক। মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি ইন্দ্রদীপ কান্দওয়াল এফসিআই সহ চটের বস্তার ক্রেতা সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন। নতুন করে বরাত সংক্রান্ত সংশোধিত সূচিও পাঠিয়েছেন তিনি। তবে একইসঙ্গে চটকলগুলি সময়ে বস্তা সরবরাহ না করলে বিকল্প ব্যবস্থার (সিন্থেটিক) জন্য রাজ্যগুলিকে আগাম চাহিদা জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।