মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি: সরকারের আয়বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনও উচ্চমার্গের দর্শন অনুসরণ নয়, বাজেটে বরং সবথেকে সহজ পথই গ্রহণ করলেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী। তা হল লাভজনক সরকারি সংস্থার শেয়ার বিক্রি। ভারত পেট্রলিয়াম, এয়ার ইন্ডিয়ার পর আজ বাজেটে চমকে দিয়ে সরকার ঘোষণা করেছে ভারতীয় জীবনবিমা সংস্থার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত। যে কয়েকটি সরকারি সংস্থার কোষাগারে স্বাস্থ্যকর অর্থসম্পদ জমা রয়েছে এবং যেগুলি লাভজনক সংস্থাই শুধু নয়, দেশবাসীর আপদে বিপদে ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বাধীনতার পর থেকে, তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য জীবনবিমা নিগম। সেই জীবনবিমারও শেয়ার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কে রাখা মানুষের আমানতের বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করায় শঙ্কা বেড়েছে। কারণ ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপ্টসি বিল এখনও আছে সরকারের এজেন্ডায়।
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই আইন কার্যকর হলে ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপর বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করায় প্রশ্ন উঠছে, এই পদক্ষেপ কেন? যদিও অর্থমন্ত্রী আজ বলেছেন, আমি আশ্বস্ত করছি মানুষের ব্যাঙ্কে রাখা টাকা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আবার জীবনবিমা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শেয়ার বাজারে পাবলিক ইস্যুর মাধ্যমে এবার বিলগ্নিকরণ করা হবে জীবনবিমা নিগমের। একইসঙ্গে আইডিবিআই ব্যাঙ্ককেও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবনবিমার ১০০ শতাংশ শেয়ার এখন সরকারের কাছে। সেই অংশীদারিত্বের কিছু অংশ বিক্রি করা হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এর কারণ মোদি সরকারের রাজকোষের সঙ্কট। চলতি আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। আগামী আর্থিক বছরের শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা শুধু বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ারই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগে শিপিং কর্পোরেশন, কন্টেনার কর্পোরেশন, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশনের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার জীবন বিমা নিগম।
১৯৫৬ সালে তৈরি হওয়া জীবনবিমা সংস্থার সঙ্গে যে কোনও স্তরের দেশবাসীর সম্পর্ক অত্যন্ত আত্মিক। কারণ, উদারীকরণের আগে এবং পরেও সতর্ক, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ভারতবাসীর ঘরে একটি হলেও জীবনবিমার পলিসি পাওয়া যাবে। সেই সংস্থা বেসরকারি হাতে গেলে ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ। যা ৩ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য এবার তো নয়ই, আগামী আর্থিক বছরও হয়তো পূরণ হবে না। বরং প্রশ্ন উঠছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ বিক্রি করে সরকারের সংসার কতদিন চলবে?
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই আইন কার্যকর হলে ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। ব্যাঙ্কে জমা টাকার উপর বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করায় প্রশ্ন উঠছে, এই পদক্ষেপ কেন? যদিও অর্থমন্ত্রী আজ বলেছেন, আমি আশ্বস্ত করছি মানুষের ব্যাঙ্কে রাখা টাকা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আবার জীবনবিমা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, শেয়ার বাজারে পাবলিক ইস্যুর মাধ্যমে এবার বিলগ্নিকরণ করা হবে জীবনবিমা নিগমের। একইসঙ্গে আইডিবিআই ব্যাঙ্ককেও বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জীবনবিমার ১০০ শতাংশ শেয়ার এখন সরকারের কাছে। সেই অংশীদারিত্বের কিছু অংশ বিক্রি করা হবে। কেন এই সিদ্ধান্ত? এর কারণ মোদি সরকারের রাজকোষের সঙ্কট। চলতি আর্থিক বছরে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। আগামী আর্থিক বছরের শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা শুধু বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ারই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তার আগে শিপিং কর্পোরেশন, কন্টেনার কর্পোরেশন, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশনের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এবার জীবন বিমা নিগম।
১৯৫৬ সালে তৈরি হওয়া জীবনবিমা সংস্থার সঙ্গে যে কোনও স্তরের দেশবাসীর সম্পর্ক অত্যন্ত আত্মিক। কারণ, উদারীকরণের আগে এবং পরেও সতর্ক, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ভারতবাসীর ঘরে একটি হলেও জীবনবিমার পলিসি পাওয়া যাবে। সেই সংস্থা বেসরকারি হাতে গেলে ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ। যা ৩ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য এবার তো নয়ই, আগামী আর্থিক বছরও হয়তো পূরণ হবে না। বরং প্রশ্ন উঠছে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ বিক্রি করে সরকারের সংসার কতদিন চলবে?
