একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
দশ ম্যাচে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির পকেটে আপাতত ১৪ পয়েন্ট। তালিকার দু’নম্বরে রয়েছে নাইটরা। লখনউ রয়েছে ঠিক পিছনে। সমসংখ্যক ম্যাচে লোকেশদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। নক-আউটের দৌড়ে ভালো মতো রয়েছে তারাও। স্বাভাবিকভাবে নাইটদের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে লখনউ।
শেষ ম্যাচে উভয় দলই জিতেছে। তাৎপর্যের হল, কলকাতা ও লখনউয়ের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে লখনউ হারিয়েছে ঘরের মাঠে। চার বল বাকি থাকতে নীতা আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৪ উইকেটে বশ মানায় এলএসজি। আর নাইটরা শুক্রবার জিতেছে ওয়াংখেড়েতে। আর সেটাও প্রথমে ব্যাট করে ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট খোয়ানোর ধাক্কা সামলে। এক যুগ পরে মুম্বইকে আরব সাগরের পাড়ে হারানোটা অবধারিতভাবেই মনোবল বাড়াবে শ্রেয়সদের। লখনউ আসার উড়ানে চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছে রিঙ্কু-রাসেলদের। কোনও সন্দেহ নেই, রবিবার সন্ধ্যায়ও ফুরফুরে মেজাজেই মাঠে নামবে কেকেআর।
মুম্বইয়ের বিপক্ষে প্রথমে বেঙ্কটেশ আয়ার ও মণীশ পাণ্ডের ব্যাট হাতে লড়াই, তারপর বল হাতে মিচেল স্টার্কের জ্বলে ওঠা ভরসা দিয়েছে সোনালি-বেগুনি শিবিরে। চলতি মরশুমে এই ম্যাচেই প্রথমবার নেমেছিলেন মণীশ। আর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হয়ে বেঙ্কটেশের সঙ্গে তাঁর ৮৩ রানের জুটিই লড়াকু স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। একসময় মনে হচ্ছিল দেড়শোর গণ্ডি টপকাতে পারবে না কলকাতা। নাইটদের ডাগ-আউটে থমথমে দেখাচ্ছিল মেন্টর গৌতম গম্ভীর, কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। ভাবাই যায়নি ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়েও আসবে দুরন্ত জয়। ২৪ রান দূরে থেমে যাবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নেন একদা সমালোচিত স্টার্ক। বাঁ হাতি অজি পেসার ৩৩ রানের বিনিময়ে নেন চার উইকেট। নিলামে ২৪.৭৫ কোটি টাকায় নেওয়া স্টার্কের ছন্দে ফেরা কলকাতার কাছে বড়ই স্বস্তির। পাশাপাশি, দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীর ফর্ম আশাবাদী করেছে সমর্থকদের। বল হাতে আন্দ্রে রাসেলও প্রয়োজনের মুহূর্তে নিয়েছেন উইকেট।
নাইটদের গত ম্যাচের ব্যাটিং অবশ্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে। দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন রান পাননি। অংক্রিশ রঘুবংশী ক্রমশ হতাশ করছেন। অধিনায়ক শ্রেয়সের ব্যাটেও ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। রিঙ্কুর গড় অবশ্য আঁতকে ওঠার মতো, ন’ইনিংসে মাত্র ১৮.৮৫! নাইটরা অবশ্য এবার ব্যাটিং অর্ডারে অনেক পিছনে ঠেলে দিয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, লখনউ পাচ্ছে না মায়াঙ্ক যাদবকে। সম্ভবত এবারের আসর থেকেই ছিটকে গিয়েছেন স্পিডস্টার। তবে মহসিন খান, যশ ঠাকুর, মার্কাস স্টোইনিস, নবীন উল হকরা রয়েছেন পেস বোলিং বিভাগে। লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোইও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। ছন্দে দেখাচ্ছে বাঁ হাতি স্পিনার ক্রুণাল পান্ডিয়াকে। রবিবার লখনউয়ের ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন কুইন্টন ডি’কক। অন্যথায় লোকেশদের ব্যাটিং জমাট নন। স্টোইনিস, দীপক হুডা, নিকোলাস পুরান, আয়ূষ বাদোনিরা বিক্ষিপ্তভাবে জ্বলে উঠছেন। তবে শেষ বিচারে ফেভারিট অবশ্যই নাইটরা।