যে কোনও ব্যবসায় শুভ ফল লাভ। বিশেষ কোনও ভুল বোঝাবুঝিতে পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। অর্থপ্রাপ্তি হবে। ... বিশদ
ডুরান্ড কাপের সেমি-ফাইনালে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়ায় ইস্ট বেঙ্গল। এদিন গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরেন ক্লেটনরা। চোটের কারণে মহম্মদ আলি বেমাম না খেলায় নর্থইস্ট মাঝমাঠকে অগোছাল দেখায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন বোরহা। মাঝমাঠের সামান্য উপরে বিষ্ণুর পাস ধরে ইনসাইড ডজে মার্কারকে বোকা বানিয়ে বাঁপায়ে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান তিনি (১-০)।
বেঙ্গালুরু ও গোয়ার বিরুদ্ধে শুরুতে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন ব্যবধান বাড়ানোর উপর বাড়তি জোর দেন ক্লেটনরা। ১৮ মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিষ্ণু। তবে ২৪ মিনিটে তাঁর ক্রস থেকেই দুরন্ত হেডে ব্যবধান বাড়ান ক্লেটন (২-০)। এই পর্বে মাঝমাঠে সাউল ক্রেসপোর সঙ্গে শৌভিকের দুরন্ত বোঝাপড়া বাকিদের কাজ সহজ করে দেয়। তবে গোলের সুযোগ এসেছিল নর্থইস্টের সামনেও। দুই লাল-হলুদ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলের জন্য ইবসন বল সাজিয়ে দেন নেস্টর রজারকে। তবে স্প্যানিশ মিডিও তা গোলে ঠেলার আগে বিপন্মুক্ত করেন শৌভিক। দ্বিতীয়ার্ধে গতি বাড়াতে বিষ্ণুর পরিবর্তে নন্দকে মাঠে নামান কুয়াদ্রাত। নেমেই গোলের সুযোগ চলেছিল তাঁর কাছে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও সোজা তাঁর হাতে মারেন নন্দ। তবে সেই ভুল শুধরে ৬২ মিনিটে গোল এই উইঙ্গারের। মহেশের ঠিকানা লেখা পাস থেকে দুরন্ত ফিনিশ তাঁর (৩-০)। চার মিনিট বাদে তাঁর বাড়ানো বল থেকে ম্যাচে জোড়া গোলটি সেরে ফেলেন ক্লেটন (৪-০)। আর ৭৭ মিনিটে নর্থইস্টের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন নন্দ কুমার (৫-০)। অন্তিম লগ্নে স্পটকিক পেয়েও নষ্ট করলেন নর্থইস্টের নেস্টর। তাই ডাবল খুশি নিয়েই বাড়ির পথ ধরলেন ক্লাব অন্ত প্রাণ সমর্থকরা। অনেক দিন পর মেঘের বুক চিরে যে দেখা দিয়েছে আশার আলো।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, খাবরা (রাকিপ), লালচুংনুঙ্গা, হিজাজি, মন্দার, নাওরেম (মোবাশির), শৌভিক, সাউল, বোরহা (পারদো), বিষ্ণু (নন্দ কুমার) ও ক্লেটন (সিভেরিও)।
(বোরহা, ক্লেটন-২, নন্দ কুমার-২)