বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
ময়দানের পরিচিত ক্লাবগুলির মধ্যে স্পোর্টিং ইউনিয়ন তাঁবুর ক্ষতি সবথেকে বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ড্রেসিংরুমের চাল উড়ে গিয়েছে। স্পোর্টিং কর্তাদের বসার ঘরটির ছাউনির অবস্থাও খুবই খারাপ। প্রবল ঝড়ে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে স্পোর্টিং ইউনিয়নের মালিদের থাকার জায়গাটিও।
ইস্ট বেঙ্গল তাঁবুর ভিতরে শতবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে একটি গেট তৈরি করা হয়েছিল। তার একটি অংশ প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। উল্টে গিয়েছে এরিয়ান তাঁবুর অফিসঘরটিও। মোহন বাগানের মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে তাঁবুতে ঢুকলে রাখা আছে ১৯১১ সালের অমর একাদশের ব্যবহার করা সাইড বেঞ্চটি। ক্লাবের এই ছোট্ট লনটিতে ওই ঐতিহাসিক সাইড বেঞ্চ সাজানো ছিল ছোট বড় গাছ দিয়ে। সবুজ মেরুনের ওই সাজানো বাগান বুধবার রাতে তছনছ হয়ে গিয়েছে। মোহন বাগান তাঁবুর পিছনের দিকে একটি দরজা ভেঙেছে। উম-পুনের প্রবল তাণ্ডবেও কিন্তু বেঁচে গিয়েছে মোহন বাগান তাঁবুতে ফিফার প্রাক্তন সভাপতি ব্লাটারের পোঁতা মেহগনি গাছটি।
গাছ পড়ে বেশ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে কাস্টমস তাঁবুর। ওই অঞ্চলের মধ্যে গাছ পড়লেও ক্ষতি হয়নি কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের টেন্টের। লকডাউনের মাঝে ক্লাবের সম্পত্তি রক্ষার জন্য ময়দানের সব ক্লাবেরই তিন-চার জন করে গ্রাউন্ড স্টাফ রয়েছে। বুধবার ময়দানের মালিরা প্রায় সকলেই বিনিদ্র রজনী যাপন করেছেন। রাত আটটা নাগাদ ময়দান অঞ্চলে ঝড়ের প্রকোপ কমে। কিন্তু সব তাঁবুতেই টিনের ছাউনি। ঝড়ে তা কখন উড়ে যাবে, এই নিয়েই বিভীষিকার রাত কেটেছে তাঁদের।
এদিকে, উম-পুনের হাত থেকে রেহাই পায়নি সল্টলেক স্টেডিয়াম। সাত ও আট নম্বর র্যাম্পের মধ্যে একটি গাছ পড়ে যায়। স্টেডিয়ামের রিং রোড দিয়ে গাড়ি যাতায়াতে দেখা দেয় অসুবিধা। গাছটি কাটা হয়েছে বৃহস্পতিবার। স্টেডিয়ামের তিনতলার কিছু ছাউনিও উড়ে গিয়েছে। তবে যুবভারতীর শেডের ক্ষতি হয়নি খুব বেশি।
আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন রহিম আলি: ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে জুনিয়র ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী রহিম আলি আশ্রয়হীন উম-পুনের তাণ্ডবে। তিনি থাকেন সোদপুরের কাছে বিবেকনগরে। রহিম আলির বাড়িটি বেশ নিচু জায়গায়। বিবেকনগরের অন্য বাড়িগুলির মতোই তাঁর ঘরে হাঁটু সমান জল। বাড়ির টিনের শেডটিও ক্ষতিগ্রস্ত। পরিবারের সঙ্গে রহিম আলি নিজেদের পাড়া থেকে একটু দূরে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রিপল টাঙিয়ে কোনওক্রমে আছেন। এলাকার নিচু এলাকার মানুষদের জন্য প্রশাসনের তরফে একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করা হয়েছিল। রহিম আলি বললেন, ‘ওই জায়গাটি বিবেকনগর থেকে প্রায় পাঁচ কিমি দূরে হওয়ায় অনেকেই যায়নি।’ মোহন বাগানের নার্সারি টিম থেকে উঠে এসে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলেছেন রহিম আলি। - নিজস্ব চিত্র