কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
না। মাস্টার ব্লাস্টারের শচীন তেন্ডুলকরের একটা মাস্টার স্ট্রোকই সেদিন বদলে দিয়েছিল মাচের রং। ঝলমলিয়ে উঠেছিল ভারতের কাপ ভাগ্য। ঘটেছিল ২৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন গৌতম গম্ভীর (৯৭)। তবে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছিল ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মহানায়ক হয়ে গিয়েছিলেন মাহি। সাধারণত ৬ নম্বরে ব্যাট করেন ধোনি। কিন্তু ফাইনালে তিনি নেমেছিলেন ৫ নম্বরে। এটা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল না। পরামর্শটা কোচ গ্যারি কার্স্টেনেরও ছিল না। ঐতিহাসিক সেই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে শচীন তেন্ডুলকরের মস্তিষ্ক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘদিনের সেই রহস্য উন্মোচন করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ও বীরেন্দ্র সেওয়াগ খুব তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি খুব ভালো ব্যাট করছিল। ওদের পার্টনারশিপের জন্যই আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পেরেছিলাম। বীরু আমার পাশে বসে খেলা দেখছিল। আমি ওকে বললাম, তুই গিয়ে ধোনিকে বল, কোহলি আউট হলে যেন ও ব্যাট করতে নামে। আর গম্ভীর আউট হলে যুবরাজ নামবে। লড়াই জিততে গেলে সব সময় প্রতিপক্ষের থেকে একধাপ এগিয়ে ভাবতে হয়। আমরা সেটাই করেছিলাম ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে। শ্রীলংকার কৌশল আমি ধরতে পেরে গিয়েছিলাম। ওরা দুজন অফ স্পিনারকে দিয়ে বল করাচ্ছিল। আমরা যদি রণকৌশল বদলে ফেলি, তাহলে শ্রীলংকার পক্ষে ম্যাচে ফেরা সম্ভব হবে না। যুবি গোটা টুর্নামেন্টে নিঃসন্দে ভালো পারফর্ম করেছিল। ফাইনালে আমার মনে হয়েছিল, শ্রীলংকা স্পিনারদের বিরুদ্ধে ধোনি অনেক বেশি কার্যকরী হবে। বিশ্বকাপের ফাইনাল বলে কথা। উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছিলাম। নিজের জায়গা ছেড়ে উঠতে পারছিলাম না। তখন অগত্যা বীরুকে দিয়েই ধোনির কাছে খবরটা পাঠিয়েছিলাম। ধোনি আমার পরামর্শ মেনে নিয়ে বিষয়টা কোচ গ্যারি কার্স্টেনকে জানায়। গ্যারি নেমে আসে। আমরা চারজনে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। ধোনিই পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামে। বাকিটা ইতিহাস।’
বীরেন্দ্র সেওয়াগ সেই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘শচীন-পাজির সেদিনের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো আমাদের কথা শুনবে না। কারণ গোটা বিশ্বকাপে মাহি খুব একটা ভালো ফর্মে ছিল না। কিন্তু শচীনের যুক্তিও ফেলে দেওয়া সহজ ছিলনা কোচ ও ক্যাপ্টেনের পক্ষে। ব্যালকনিতে বসে আমি যখন লিটল মাস্টারের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তখন দেখি বিরাট আউট হতেই প্যাড পরে ব্যাট করতে নামছে মাহি। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিল ক্যাপ্টেন। ওর জন্যই আমরা বিশ্বকাপ এত সহজে জিততে পেরেছিলাম।’