কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
জেনে রাখা ভালো যে, প্রাপ্ত বেতনের নিরিখে রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলেছেন মেসি। কিন্তু বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপে সিআরসেভেনই সর্বোত্তম। বিশ্বের অন্যতম নামী সংস্থা নাইকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর তিনি। পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপন সংস্থা থেকে সব মিলিয়ে বার্ষিক ৩৬ মিলিয়ন ইউরো অর্থ তাঁর ভাঁড়ারে ঢোকে। জুভেন্তাসের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে বার্ষিক ৫৩ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন রোনাল্ডো। এছাড়া অনান্য কার্যকলাপ থেকে বার্ষিক ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় রয়েছে তাঁর। করোনার প্রভাবে জুভেন্তাসের আর্থিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চার মাসের বেতন ক্লাবকে দিয়েছেন রোনাল্ডো। তবু বিলিয়নিয়ারের তকমা পেতে তাঁর অসুবিধা হবে না।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, চলতি মরশুম শেষে রোনাল্ডোকে বিক্রি করে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তুরিনের ক্লাবটি। কোভিড-১৯’ এর কারণে ইতালির প্রতিটি ফুটবল ক্লাবই এখন গভীর সঙ্কটে। রোনাল্ডো, ডায়বালারা শেষ চার মাসের বেতন দান করায় এই মরশুমের জন্য হয়তো সমস্যা মিটবে জুভেন্তাসের। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সিআরসেভেনকে বিক্রির চিন্তাভাবনা চালাচ্ছেন ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা। তবে গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে একাধিক ‘যদি’ এবং ‘কিন্তু’র উপর।
২০১৮ সালে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রোনাল্ডোকে কিনেছিল তুরিনের ওল্ড লেডি। মহাতারকার জার্সি বেচেই বিরাট পরিমাণ অর্থ আয় হয়েছিল জুভেন্তাসের। রিয়াল মাদ্রিদের মতো না হলেও সাদা-কালো জার্সিতে ভালোই খেলছেন রোনাল্ডো। তাই চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু করোনার প্রভাবে আর্থিক পরিকাঠামো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ইতালির ক্লাবগুলির। প্রশ্ন উঠছে, রোনাল্ডোকে কি চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দিতে পারবে জুভেন্তাস? ইতালির সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে চুক্তির অর্থ কমানোর অনুরোধ করা হতে পারে রোনাল্ডোকে।