মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির খেলতে নামার কথা। তার আগেই বড় ধাক্কা খেল ‘সিটিজেন’ ব্রিগেড। ক্লাব লাইসেন্সিং ও ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) বা আর্থিক স্বচ্ছতার নিয়ম লঙ্ঘন করার দায়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির পথ বেছে নিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা উয়েফা। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ ইউরোপের সব ধরনের ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ মরশুমের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে তাদের। শুক্রবার এক বিবৃতিতে উয়েফা জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ফেয়ার প্লে নীতির ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ হয়েছে। স্পনসরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ব্যাপারে তাদের কাছে সঠিক তথ্য দেয়নি ম্যান সিটি। এমনকী এ ব্যাপারে তদন্তের সময়ও সহযোগিতা করেনি তারা। তাই বাধ্য হয়েই এই শাস্তির পথে হেঁটেছে উয়েফা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে সিটি জানায়, তারা শুরু থেকে উয়েফাকে পূর্ণ সহায়তাই করেছে।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে উয়েফার ফেয়ার-প্লে নীতি ভঙ্গ করে খেলোয়াড় ক্রয়ে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ বহুদিনের পুরনো। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাজত্ব প্রতিষ্ঠার আশাতেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে গত এক দশকে একের পর এক খেলোয়াড় কিনেছে ম্যান সিটি। আর তা ধামাচাপা দিতে হিসেবে গরমিল করেছে ইপিএল দলটি। উয়েফার তদন্তের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, উয়েফার ফেয়ার প্লে নীতি ভঙ্গ করে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মোট ২৪ জন খেলোয়াড় কিনেছে তারা। উয়েফার নিয়মভঙ্গ করে ২০১২ সালে ৩ জন, ২০১৩ সালে ৫ জন, ২০১৪ সালে ৩ জন, ২০১৫ সালে ৬ জন ও ২০১৬ সালে ৭ জন ফুটবলারকে দলে নিয়েছে ম্যান সিটি। আর এই ২৪ জন খেলোয়াড় কেনার জন্য তারা খরচ করেছে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি।
তবে খেলোয়াড় কেনায় আর্থিক বেনিয়মের শাস্তি যে এত কঠোর হতে পারে, তা বোধহয় অনেকেই ভাবতে পারেননি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে দুই মরশুমের জন্য নির্বাসনের ফলে ঘোর অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের তারকা কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার ভবিষ্যৎ। এমনকী দলের নামী ফুটবলারদের সামনেও ঝুলছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। তার ওপর যদি বর্ধিত শাস্তিস্বরূপ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে জায়ান্ট ক্লাবটি অবনমিত হয়, তাহলে পরিস্থিতি যে কোন জায়গায় দাঁড়াবে তা ভাবলেই শিউরে উঠছেন সিটির সমর্থকরা।