বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
শুক্রবার জেলার এগ্রি মার্কেটিং(প্রকিওরমেন্ট) বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জল থেকে তোলা সমস্ত আলু ১০টাকা কেজি দরে কিনে নেন। এতে চাষিরা খুশি হয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছে, জলে ডুবে যাওয়া আলু রাখলে পচে যাবে। তাই সরকার থেকে ওই আলু কেনায় আমরা লোকসান থেকে অনেকটাই বাঁচব।
বাঁকুড়া জেলা এগ্রি মার্কেটিং(প্রকিওরমেন্ট) বিভাগের আধিকারিক উত্তম হেমব্রম বলেন, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ১০টাকা কেজি দরে চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনছি। তা সুফল বাংলার স্টলে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে। সোনামুখীর উত্তর নিত্যানন্দপুরে ক্যানেলের জলে বহু আলু জমি ডুবে গিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে আমরা এলাকায় এসেছি। চাষিরা প্রায় আড়াইশো প্যাকেট আলু জল থেকে তুলেছেন। তা ন্যায্য মূল্যে কেনা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তোলা সমস্ত আলু কেনা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টি হওয়ার পর দামোদর তীরবর্তী নিচু এলাকায় অবস্থিত উত্তর নিত্যানন্দপুরের জমিতে জল জমে। চাষিরা ওই জল বের করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, দুপুরের পর হঠাৎ করে ক্যানেলের জল উপচে নিত্যানন্দপুরের মাঠের দু’দিকে হু হু করে নামতে শুরু করে। তাতেই প্রায় ৫০বিঘা আলু জমি ভাসিয়ে দেয়। আলু গাছের উপর হাঁটু সমান জল জমে যায়। ওই জল বের করার মতো অবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে চাষিরা জলের তলায় হাত ঢুকিয়ে আলু বের করে তোলার চেষ্টা করেন। জলের উপর ঝুড়ি এবং বড় বড় কড়াই ভাসিয়ে তার উপর তুলে আলু বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
ডিভিসির সোনামুখী সেকশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব শেখ বলেন, ক্যানেলে নিয়মমাফিক জল আসছিল। উত্তর নিত্যানন্দপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই জমি ভেসেছে। তবুও আমরা খবর পাওয়া মাত্র কুলডাঙা এলাকায় গেট নামিয়ে দিই। ওই শাখায় জল বন্ধ করা হয়েছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০বিঘা জমির আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জলের তলায় থাকা একটি আলুও ভালো থাকবে না। ডিভিসির ক্যানেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য চাষিদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। স্থানীয় চাষি অঞ্জন দাস বলেন, বর্ষার সময় দামোদরের জল উপচে বিঘার পর বিঘা জমির ধান জলের তলায় চলে গিয়েছিল। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তা সামলে অধিকাংশ চাষি ঋণ নিয়ে আলু লাগিয়ে ছিলেন। তা ওঠার সময় হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার অকাল বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হয়। ক্যানেলের জল উপচে জমিতে হাঁটু সমান জল জমায় ডুবে যাওয়া সমস্ত আলু পচে যাবে। তাই যতটা সম্ভব তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।