বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মাঝরাতে কদমতলায় একটি বিরিয়ানি দোকানের ভিতর থেকে ওই কর্মীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। ঘটনায় দোকান মালিককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। এদিকে, পরিবারের তরফে প্রথমে অভিযোগ তোলা হয়, ছেলেকে খুন করে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু পরে দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস। দেখা যায়, মোবাইল দেখতে দেখতে বিরিয়ানির হাঁড়ি ঢাকার কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে সে। থানায় ডেকে ওই ফুটেজ মৃতের পরিবারকেও দেখানো হয়।
তারপরই মৃতের পরিবার দাবি করে, ছেলেকে দোকান মালিক মারধর করেছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ও। যদিও শুক্রবার রাত পর্যন্ত থানায় ওই অভিযোগ দায়ের হয়নি। থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃতের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী পুলিস মামলা রুজু করে তদন্ত চালাবে।
দোকান মালিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দোকান থেকে চলে যাই। তখন ওই ছেলেটি সহ তিনজন কর্মী ছিল। শেষে যে যাবে, সে দোকান তালা দিয়ে চাবি সামনে নৈশপ্রহরীর কাছে রেখে যাবে, এটাই নিয়ম রয়েছে। তাঁর দাবি, নৈশপ্রহরী রাত ১১টা নাগাদ দেখেন, শাটার নামানো। অথচ ভিতরে আলো জ্বলছে। তিনি শাটার তুলতেই দেখেন, ছেলেটি ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই দোকানে আসি। পুলিসকে খবর দিই।
যদিও পরিবারের দাবি, এতকিছু হয়ে গেলেও দোকান মালিক তাঁদের খবর দেননি। পুলিসের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন। ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। ভরসন্ধ্যায় শহরের মূলকেন্দ্রে একটি রেস্টুরেন্টের শাটার নামিয়ে কর্মী আত্মহত্যা করল, অথচ আশপাশের দোকানদাররা কেন টের পেলেন না? ঘটনার কথা জানার পরও মালিক কর্মীর পরিবারকে খবর দিলেন না কেন? মৃতের পরিবারের দাবি, ছেলেকে বাড়ি আসতে দিতেন না দোকান মালিক। সে দিনরাত দোকানেই থাকত। মৃতের মা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি এসেছিল ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে এসে তাকে বাইকে করে নিয়ে যান দোকান মালিক।
(থানায় মৃত কর্মীর পরিবার। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।)