উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বহু বছর ধরে টালবাহনা করেছে। এলাকার বাসিন্দারা অনেকবার দিল্লিতে চিঠি করেছেন। তাতেও তাদের টনক নড়েনি। এই প্রকল্প জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রের অনেক আগে এগিয়ে আসা উচিত ছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হলে দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দারা বন্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাবেন।
সোমবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের বন্যা কবলিত এলাকায় বেশি করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুর্যোগ বাড়তে পারে। কোনও পরিবারকে সরানোর দরকার হলে নিরাপদ জায়গায় আনতে হবে। কেউ বাড়ি ছেড়ে আসতে চান না। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে কিছু করারও নেই। মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি। ডিভিসি জল ছাড়লে আবার প্লাবিত হবে। বন্যার জল ঢুকলে সরে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই আমাদের চিন্তা হয়। নিজেদের বাঁচাতে পুরো জল ডিভিসি ছেড়ে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ি ডুবে যাচ্ছে। চাষের জমি জলের তলায় চলে যাচ্ছে। মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিডিও, এসডিও ও বিধায়করা এলাকায় যাবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার। বহু গ্রাম এখনও জলের তলায় রয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে নৌকা। স্থানীয়রা বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে প্রতি বর্ষায় জেলার এই চেনা ছবি বদলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আশায় বুক বেঁধেছেন ঘাটাল সহ পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের বহু গ্রামের বাসিন্দারা। তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন।