উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
গতবছরের ২৭ জুলাই গভীর রাতে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়ির আংড়াভাসায় মামার বাড়িতে হামলা চালায় আফতাব। জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মামা মেহতাব আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সে। গুরুতর জখম করে মামি মৌমিতাকেও। মেহতাবের দুই নাবালক ছেলে সহ ১৭ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এদিন ওই মামলার সাজা ঘোষণা করে আদালত।
মামলার সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘটনায় মোট ছ’জন অভিযুক্ত। তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত আফতাবকে এদিন ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি পাঁচজনের মধ্যে দু’জন নাবালক। তাদের জুভেনাইল আদালতে বিচার চলছে। অন্যদের মধ্যে দু’জন মহিলা এবং একজন পুরুষ। তাদেরও বিচার চলছে। নিহতের দুই নাবালক সন্তানের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে তিন লক্ষ টাকা করে দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন লিগ্যাল এইড ডিফেন্স কাউন্সিলের ডেপুটি চিফ ভানু সিংহ সরকার। তিনি জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই পুলিস পৌঁছে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতবছর অক্টোবরের মধ্যে পুলিস চার্জশিট জমা দেয়। তদন্তকারী অফিসার বিনয় যাদব খুব ভালো কাজ করেছেন। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারকও তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে পুরষ্কৃত করব।
এদিন দুই সন্তানকে নিয়ে আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়েছিলেন নিহতের স্ত্রী মৌমিতা। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় অন্য ঘরে শুয়েছিলাম। দুই সন্তানকে নিয়ে পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী। আফতাব পাঁচজনকে নিয়ে গভীর রাতে হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আফতাব ও তার সঙ্গীরা আমাকে কোপাতে থাকে। আমার গোঙানি শুনে জেগে যান স্বামী। তড়িঘড়ি তিনি উঠে এসে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন ওরা আমাকে ছেড়ে স্বামীকে কোপায়। গোটা ঘটনাটি আমার দুই নাবালক সন্তান দেখে। তারা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে।
মৌমিতার দাবি, ঘটনাস্থলেই স্বামীর মৃত্যু হয়। আমি কোনওমতে ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসি। রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে দেখতে পেয়ে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। তারপর আমাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এসপি বলেন, আফতাব ছোট থেকে মামার বাড়িতেই থাকত। পরে কাজের নাম করে দিল্লি চলে যায়। সেখানে গিয়ে দুষ্কৃতী দলে নাম লেখায়। মেহতাব বিমার এজেন্ট ছিলেন। টাকা হাতাতেই সে ডাকাতি ও খুনের ছক কষে। নিজস্ব চিত্র।