কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বোলপুর পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সব্জি ও নিত্য সামগ্রীর হাট। তার মধ্যে হাটতলা, নেতাজি বাজার, শ্যামবাটি, শ্রীনিকেতন কিষান মান্ডি উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ, এক এক জায়গায় সব্জি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের এক এক রকমের দাম। কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর লুটতরাজের জন্যই সাধারণ মানুষের এই অসহায় অবস্থা। এই মুহূর্তে বোলপুর বাজারে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ৩২ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, পটল ৩০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙে ৪৫ টাকা ও ঢেঁড়শ ৫০ টাকা। এমনকী, একটা ছোট লেবুর দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকায়। অর্থাৎ বাজার এক কথায় আগুন। এতে সব থেকে সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা। কিন্তু মানুষের এই সমস্যা সত্ত্বেও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে সেভাবে অভিযান চালাতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত বছর ডিসেম্বর মাসে তারা বোলপুর বাজারে শেষ হানা দিয়েছিল। তারপর কোনও আধিকারিকের আর টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে বেশকিছু অসৎ ব্যবসায়ী। ফলে, সব্জি ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বেড়েই চলেছে।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অত্যন্ত চটেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে সতর্ক করে কালোবাজারি রুখতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেন। এরপরেই শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। এদিন বোলপুরের হাটতলা, নেতাজি বাজার, শ্রীনিকেতন কিষান মান্ডি সহ শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন সব্জি বাজার পরিদর্শন করেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে এদিন তাঁরা সতর্ক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডেপুটি পুলিস সুপার স্বপন চক্রবর্তী বলেন, অভিযান চালানো হয় না, তেমন নয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা পুনরায় তৎপর হয়েছি। এদিনের অভিযানের পরেও কেউ যদি লুটতরাজ জারি রাখে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এছাড়া কোল্ড স্টোরেজগুলিতেও আচমকা অভিযান চালানো হবে।