কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন সাজা ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব আদালত চত্বরে হাজির হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জয়পুর ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি কোনওরকম অন্যায় কাজের যুক্ত থাকতে পারেন না। সরকার পক্ষের আইনজীবী গুরুপদ ভট্টাচার্য বলেন, বৈতল এলাকার হরিণাশুলি সংসদ এলাকায় ইন্দিরা আবাসনের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি চাউর হতেই তা নিয়ে ২০১২সালের ১জানুয়ারি বিকেলে হরিণাশুলি গ্রামে বেশ কিছু বহিরাগত সহ তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা জড়ো হন। ওই সময় পার্শ্ববর্তী হাতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী গোলাম কুদ্দুস শেখ সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাবর আলি কোটাল, নবিয়াল মণ্ডল সহ অন্যান্যরা তাঁকে আটকে প্রচণ্ড মারধর করে। টাঙি, লাঠি, কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। ঘটনার পরের দিন মৃতের দাদা ইউসুফ আলি শেখ মোট ৪১জনের বিরুদ্ধে জয়পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের অধিকাংশকেই ধাপে ধাপে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্তি পায়। সেই থেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে মামলাটি চলছিল। তদন্তের পর পুলিস ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। বাকিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার শেষ শুনানি ছিল। বিভিন্ন সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক ওইদিন সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃত তৃণমূল নেতা।-নিজস্ব চিত্র