কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মানসবাবু তৃণমূল সমর্থক হলেও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন না। পেশায় ঠিকাদার মানসবাবুর দীঘায় একটি হোটেল তৈরির জন্য একসময় মুগবেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের লোন নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক ডিফল্টার হওয়ায় হোটেল দখলের নোটিসও হয়ে যায়। যদিও শেষমুহূর্তে ঋণ শোধ করেন। পুরনো সেই ফাইল নিয়ে ওই তৃণমূল নেতার দাদাকে এজেন্সি চেপে ধরতে চাইছে বলে অনুমান। নোটিস পাওয়ার পর থেকেই মানসবাবু ফোন বন্ধ রেখেছেন। একইভাবে দু’মাস মোবাইল বন্ধ মানব পড়ুয়ারও।
এবার লোকসভা ভোটের আগে থেকেই নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ মামলা নিয়ে আদাজল খেয়ে নামে এনআইএ। গত ২৭মার্চ ওই বিস্ফোরণ মামলায় একসঙ্গে আট তৃণমূল নেতাকে নোটিস পাঠায় এনআইএ। নির্ধারিত দিনে হাজিরা না দেওয়ায় ২৪ঘণ্টা বাদে দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয়। তারপর ৬এপ্রিল এনআইএ অফিসাররা আধাসেনা নিয়ে অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে হাজির হন। তৃণমূল কংগ্রেসের অর্জুননগর অঞ্চল সভাপতি বলাইচরণ মাইতি এবং নাড়ুয়াবিলা বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থলে এনআইএ বাধার মুখে পড়ে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়িতে হামলা হয়। আক্রান্ত হন দুই অফিসার।
তারপর ফের মানব এবং আড়গোয়াল অঞ্চল তৃণমূল নেতা নবকুমার পণ্ডাকে নোটিস পাঠানো হয়। মানব এবং নবকুমার ওই মামলায় অভিযুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের গ্রেপ্তারের উপর সাময়িক রক্ষাকবচ দেয়। ভোট মিটতেই ফের মানব নোটিস পান। যদিও তিনি হাজিরা দেননি। এবার মানবের দাদাকে নোটিস পাঠানো হল। ২০২২সালে ৩ডিসেম্বর নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় ওই বুথ সভাপতি সহ তিনজন মারা যান। ঘটনার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ২০২৩সালে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে একবার তৃণমূল নেতাদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। বেশ কয়েকজন নোটিস পেয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন। তারপর লোকসভা ভোটের মুখে আবারও ওই মামলা নিয়ে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এনআইএ বিজেপির কথামতো কাজ করছে। ভোটের সময় অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে দলকে চাপে রাখতেই বিস্ফোরণ মামলা নিয়ে এত তৎপরতা। দলের ভগবানপুর-২ ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন, মানস পড়ুয়া সরাসরি রাজনীতির লোক নন। এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর বিন্দুমাত্র যোগ নেই। অথচ এনআইএ তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে ২৫জুন তলব করেছে। গোটাটাই বিজেপির ষড়যন্ত্র।
ভগবানপুরের বিধায়ক বিজেপির রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে এনআইএ। তারা তদন্ত করতে গিয়ে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন মনে করছে তাদের নোটিস পাঠাচ্ছে। এর মধ্যে বিজেপিকে টেনে আনার মতো কিছু নেই। তৃণমূল নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপিকে দোষারোপ করছে।