কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
লালবাগ মহকুমার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম, ভগবানগোলা ও লালগোলা বিধানসভা। মুর্শিদাবাদ ও ভগবানগোলা বিধানসভা মুর্শিদাবাদ লোকসভার অন্তর্গত। নবগ্রাম ও লালগোলা বিধানসভা জঙ্গিপুর লোকসভার মধ্যে রয়েছে। এই চার বিধানসভার লক্ষাধিক বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি ভোটেও তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। তবে এবছর ২৫ দিনের ব্যবধানে ঈদ ও ভোট পড়ে যাওয়ায় একটা অংশের পরিযায়ী শ্রমিক ঈদে বাড়ি ফেরেননি। তাঁরা ভোটের জন্য গত কয়েকদিন আগে থেকে ফিরছেন। যাঁরা ঈদে বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই পরিবারের সঙ্গে দিন কয়েক কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছেন। অনেকে অবশ্য বাড়তি ছুটি নিয়ে রয়ে গিয়েছেন। তাঁরা ভোট দিয়েই আবার কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে পূর্ব রেলের লালগোলা-শিয়ালদহ এবং হাওড়া-আজিমগঞ্জ শাখায় ট্রেনগুলিতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি লালবাগ ও জিয়াগঞ্জের ফেরিঘাটগুলিতে সারারাত ফেরি পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে সোমবার সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সকালে আজিমগঞ্জ জংশন স্টেশনে নামেন ভগবানগোলার হনুমন্তনগরের বেশ কয়েকজন যুবক। ওই দলের সদস্য হাজিকুল শেখ বলেন, ভোটে আসব বলেই ঈদে আসিনি। ভোটের জন্য এক সপ্তাহ ছুটি নিয়ে এসেছি। লালগোলার ময়ার বাসিন্দা কিসমত শেখ রবিবার রাতে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরেন। কিসমত বলেন, ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। সপ্তাহ খানেক পরেই ফিরে যাই। গাঁটের কড়ি খরচ করে ভোট দিতে এসেছি।
তৃণমূলের ভগবানগোলা-১ প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আহসানুর রহমান বলেন, ভগবানগোলা বিধানসভায় ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে পরিযায়ী শ্রমিকদের ৯০ শতাংশ আমাদের সমর্থন করেছিলেন। আশা করছি, এবারও তাঁদের সমর্থন আমরাই পাব। কারণ আমাদের জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অনেককিছু করছেন।
সিপিএমের ভগবানগোলা এরিয়া কমিটির সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, বিধানসভা ভোটে শাসক দল ভোট লুট করেছিল। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে। কাজেই কাজটা এত সহজ হবে না। আমাদের প্রার্থীই জয়ী হবেন।