কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালেই তৃণমূলের জেলা কমিটির নেতারা নিজের নিজের বুথে ভোট দিয়ে চলে যাবেন বোলপুরের পার্টিঅফিসে। সেখানে নিজেদের টিম নিয়ে বসবেন আলাদা আলাদা টেবিলে। যদিও কোর কমিটির মধ্যে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটের এবং সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সিউড়ি পার্টিঅফিসে দিনের একটা সময় বসতে পারেন। বোলপুরের পাশাপাশি জেলার এই দুই পার্টিঅফিসও ভোটের দিন কার্যত মিনি কন্ট্রোল রুম হয়ে যাবে। তবে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ আলাদাভাবে বোলপুর পার্টিঅফিসে বসবেন। সেখানে বেশ কয়েকটা মোবাইল ফোন ও অঞ্চল ভিত্তিক ফোন নম্বরের তালিকা থাকবে। সময়ান্তরে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে খোঁজ নেওয়া হবে ভোটের বিষয় নিয়ে। যেমনটা অনুব্রত মণ্ডল করতেন। নির্বাচন কমিশনের নজরবন্দি থাকাকালীন পার্টিঅফিসে বসে কেষ্ট ঠিক করে দিতেন কোথায় কারা থাকবে। কোনও ভুলভ্রান্তি কানে এলেই ফোন করে সেই কর্মী বা নেতাকে ধমক দিয়ে শুধরে দিতেন। অসুবিধা হলে কমিশনের আধিকারিকদেরও ফোন করে প্রয়োজনীয় অভিযোগ জানাতেন। তবে সবটাই চলত নিজস্ব স্টাইলে। ভোটের দিন জেলার বোলপুরের তৃণমূলের পার্টিঅফিসই থাকত কমিশন থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম প্রত্যেকের মূল আলোচনার বিষয়। এবার লোকসভা ভোট কেষ্টকে ছাড়া উতরানো কঠিন না হলেও তাঁকে মিস করবেন বলেই দাবি কর্মী থেকে নেতাদের।
চন্দ্রনাথবাবু, সুদীপ্তবাবু বলেন, একই স্টাইলে ভোটের দিন পার্টিঅফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে।
রবিবার জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ফের কেষ্টর নাম শুনে উচ্ছ্বসিত কেষ্ট অনুগামীরা। একসময়ের ঘোর কেষ্ট বিরোধীরাও বলছেন, দল কোনওদিন কেষ্টদার মতো মানুষকে ঝেড়ে ফেলবে না, সেটা পরিষ্কার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শেখ শাজাহান আর কেষ্টদার মধ্যে ফারাক আছে। তাই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বারবার কেষ্টর পাশে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। জেলা সভাপতির পদে আজও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কারণ ওটা কেষ্টদার জন্য পাকাপাকি।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, মানুষ আজ চড়াম চড়াম আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না। তিহারে বাজাচ্ছেন বোধহয়। ভোটের দিন যদি আগের মতো ফের অশান্তি পাকায়, আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।