কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
বাংলায় ইতিমধ্যে দু’দফায় মোট ছ’টি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে। সবক’টি উত্তরবঙ্গে। যাকে বিজেপির উত্থানভূমি বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। আজ, মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার দু’টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। তার আগের দিন দুর্গাপুরের তিলক ময়দানে সভা করেন অমিত। সেখানে আসন পাওয়া নিয়ে যেভাবে শীর্ষ নেতৃত্ব সন্ধিহান, তাতে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল। ক’দিন আগে রানিগঞ্জে সভা করে অভিষেক জানিয়েছিলেন, দু’দফা নির্বাচনেই বিজেপি সরকারের মাথা ও ঘাড় ভেঙ্গে দিয়েছে জনতা। ছ’টি লোকসভা আসনের নির্বাচনে তারা শূন্য পাবে। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগের টার্গেট থেকে বাদ পড়া পাঁচটি আসন উত্তরবঙ্গের কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন, বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি ছাড়া দুর্গাপুরের সভা থেকে নতুন কিছু বলেননি অমিত। ‘সন্দেশখালির চক্রান্ত’ ফাঁস নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। উল্টে, কাশ্মীর, পুলওয়ামা ও উরি অস্ত্রে শান দিয়ে জাতীয়তাবোধকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, ‘আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, কীভাবে বালাকোটে আমরা গিয়ে এয়ারস্ট্রাইক করেছিলাম। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, কাশ্মীরে কী হল তা নিয়ে বাংলা, হরিয়ানার কি এসে যায়। আমি বলতে চাই, কাশ্মীরের জন্য দুর্গাপুরের নতুন প্রজন্ম জীবন দিতে পারে। ৩৭০ ধারা লাগু হলে রক্ত গঙ্গা বইবে কাশ্মীরে, এমনই দাবি ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু একটা পাথর ছোড়ার কেউ সাহস পায়নি। মনে রাখবেন, এই যে ‘ইন্ডি’জোট হয়েছে এখানে সব দলের মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ১২ লক্ষ কোটি টাকা। মোদিজির গায়ে কেউ ২৫ পয়সার দাগ লাগাতে পারেনি। আপনারাই বলুন সিএএ লাগু হওয়া উচিত কি না। হিন্দু ভাইদের আমরা নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ করব।’
এরপরেই সন্দেশখালি ইস্যুতে মেরুকরণ তৈরির চেষ্টা করেন অমিত। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যেভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তা আমরা ভুলব না। অপরাধীরা যদি পাতালেও লুকিয়ে থাকে, মুখ্যমন্ত্রী যদি পাতালে তাদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন, সেখান থেকে খুঁজে বের করে জেলে পাঠাব। রাম মন্দিরের উদ্বোধনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের ভোট সুনিশ্চিত করতে তিনি তাতে অংশ নেননি।’