কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
মানকরের দক্ষিণ রাইপুর এলাকায় রয়েছে একটি চালকল। অভিযোগ, চালকলের ছাই নানাভাবে এলাকায় ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল বাউরি, জয়ন্তী কর্মকাররা বলেন, প্রচুর ছাই ও ধানের কুটি চালকলে খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। সেইগুলিই আমাদের বাড়িতে ঢুকছে। চালকলের পাশের রাস্তাটি মানকর উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়া ব্যবহার করে। ছাই উড়ে এসে অনেক সময় পড়ুয়াদের চোখেও ঢুকছে। সকলেই ভীষণ অসুবিধার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, মারো, কোটা সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা মানকর স্টেশনে আসার জন্য চালকল সংলগ্ন রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তাঁদেরও চোখে ছাই পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, বাড়িতে ফুলগাছ রয়েছে। সকালে ফুল তুলতে গিয়ে ছাই ঢুকে চোখ ফুলে গিয়েছিল। বর্ধমানে গিয়ে ছাইয়ের কণা চোখ থেকে বের করতে হয়েছিল। ছাইয়ের ঠেলায় শীতকালেও জানলা খোলা যায় না। মানকর ছাড়াও ব্লকের পুরষা এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় একই পরিস্থিতির জন্য অভিযোগের আঙুল স্থানীয় চালকলগুলির দিকে। পুরষার কাছে জাতীয় সড়কের বর্ধমানমুখী রাস্তার বাঁদিকে তাকালেই দেখা যাবে কালো ছাই বা ফ্লাই অ্যাশের গাদা।
জানা গিয়েছে চালকলের চিমনি দিয়ে বেরনো ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস থাকে। সিলিকা মিশে থাকে ছাইয়ে। চালকল থেকে বেরনো জলে ক্লোরাইড, সালফেট, ফসফেট, পটাশিয়াম প্রভৃতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। চালকলের ছাই সরানো এবং ফেলার জন্য সরকারের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ছাই যাতে না ওড়ে, সে জন্য তা জলে ভেজানোর নিয়ম রয়েছে। যেখানে ছাই ফেলা হবে সেখানে মাটি চাপা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই মাটি জলে ভিজিয়ে তার উপরে গাছ লাগাতে হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিবেশে তার ক্ষতিকর প্রভাব পরবে বলে মত এলাকার বাসিন্দাদের।
মানকরের চালকলের পক্ষে অনিল নারায়ণ বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। চিমনিতে মেশিন লাগানো আছে। যে ছাই মজুত রয়েছে তাতে নিয়মিত জল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। মজুত ছাই ঢাকা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।