ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষিনির্ভর। গলসি থেকে কালনা সব জায়গাতেই ধান চাষ হয়। কৃষকরাই জেলার রাজনৈতিক দলগুলির ভাগ্যবিধাতা। তারাই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। জামালপুরের চাষি চাঁদমাণিক মণ্ডল বলেন, ধানের সহায়ক মূল্য কমপক্ষে তিন হাজার টাকা করা উচিত। সেটা হলে আমরা লাভের মুখ দেখতে পাব। এখন সার কিনতে এবং ট্রাক্টর ভাড়া দিতে অর্ধেক টাকা বেরিয়ে যায়। শ্রমিকের মজুরিও বেড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খরচও বেড়েছে। ধানের দাম না বাড়ানো হলে চাষিরা যাবে কোথায়। আর এক চাষি মধু দাস বলেন, সারের দাম কম থাকলে ততটা অসুবিধা হতো না। কিন্তু তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ইউরিয়া, ডিএপি সহ সমস্ত সারের দাম বেড়ে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য অনেকেই চাষে উৎসাহ হারাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাষিদের কথা না ভাবলে আরও অনেকেই চাষ করার আগ্রহ দেখাবে না।
ভোটপ্রচারে চাষিদের সমস্যার কথা তুলে ধরে তৃণমূল এবং সিপিএম বিজেপিকে তোপ দাগছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, বিজেপি কৃষকবিরোধী। সেই কারণেই চাষিরা দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ফসলের দাম নিয়ে ওদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু তৃণমূল সরকার সবসময় চাষিদের পাশে থাকে। সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘেষাল বলেন, চাষিদের নিয়ে কোনও সরকারই ভাবে না। চাষিরা খারাপ সময়ের মধ্যে যাচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্প নিজেদের নাম দিয়ে চালাচ্ছে। কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প এনেছে। পিএম কিষান প্রকল্প থেকে তাঁদের আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
চাষিরা বলছেন, তাঁদের দুর্দশা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সরব হওয়া উচিত। কৃষকরা বেঁকে বসলে সব দলকেই বিপাকে পড়তে হবে।