আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
যদিও এই সিদ্ধান্তে খুশি নন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, নির্বাচন চলাকালীন পরীক্ষার প্রক্রিয়া স্থগিদ রাখতে হবে। এই মর্মে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে প্রচুর ছাত্রছাত্রী সমবেত হয়ে অবস্থান শুরু করেন। এমতাবস্থায় পড়ুয়াদের চাপে পড়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময়কালে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১০ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করা হয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই সময় বাংলা সহ সারা দেশের নানা প্রান্তে নির্বাচন চলবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা যদি পরীক্ষায় বসেন, তাহলে ভোটদান করতে পারবেন না। যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার পক্ষে ভালো উদাহরণ নয়। বিশেষত বিশ্বভারতী রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যার আচার্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের এমন কার্যকলাপে স্বভাবতই স্তম্ভিত হয়ে যান পড়ুয়ারা। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ পড়ুয়া প্রত্যেকে নির্বাচন কমিশনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। পাশাপাশি প্রতিকার চেয়ে ভোটদানের বন্দোবস্ত করতেও বলেন। এরপর এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যক্ষদের নতুন করে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে ও পরের দিন যাতে কোনওরকম পরীক্ষা না রাখা হয়, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে খুশি না হয়ে এদিন বিকেলে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে ধর্না শুরু করেন পড়ুয়ারা। উপাচার্যকে স্মারকলিপিতে তাঁরা বলেন, ভোটদান একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যা সকল নাগরিকের প্রাপ্য। বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হলে ভিনরাজ্য থেকে আসা পড়ুয়ারা ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার খর্ব হবে। তাই সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলি বর্তমান সময়ের পরিবর্তে মে মাসের গরমের ছুটির পর জুন মাসে করার জন্য তাঁরা আবেদন জানান। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথা বিবেচনা করে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। যদিও এদিন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।