পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
ভোটের ভরা বাজারেও তৃণমূল-বিজেপির লড়াই থামার লক্ষণ নেই। যেমন মাঠে-ময়দানে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায়। একের পর এক গ্রাম ঘুরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে মাইক হাতে বিজেপিকে বিঁধে চলেছে তৃণমূল। পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টে চালানো, আয়ুস্মান ভারত চালু করতে না দেওয়া সহ একাধিক ইস্যুতে সোচ্চার হচ্ছে গেরুয়া শিবির। ময়দানের সেই যুদ্ধ জারি সামাজিক মাধ্যমেও।
বিজেপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের ফেসবুক পেজে প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থীকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না। কোথাও আপলোড করা হয়েছে, ‘বীরভূমে ফিরবে সুখ, তাই তো এবার দেবাশিস মুখ।’ আবার কোথাও লেখা হয়েছে, ‘শতাব্দীর খেলা শেষ, বন্দেভারত চলছে বেশ’। আবার কেউ লিখেছেন, বীরভূমে শতাব্দী এক্সপ্রেস বেলাইনের পথে। যদিও ওইসব পোস্টে অনেকে কমেন্ট করে লিখেছেন, তাহলে বিজেপি প্রার্থীর নাম বন্দে ভারত। শতাব্দী এক্সপ্রেস ভারতের ইতিহাসের পাতায় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এক লক্ষ ব্যবধানে বন্দেভারত হারবে।
ব্যঙ্গযুদ্ধে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। তারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে লিখেছে, ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করান দেখবেন ১৫ লক্ষ টাকা এখনও ঢোকেনি। কিন্তু অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, স্কলারশিপের টাকা ঢুকেছে। সেখানে কমেন্টে অনেকে লিখেছেন, ‘মোদির নয়, এটাই দিদির গ্যারান্টি।’ সবমিলিয়ে পদ্ম আর জোড়াফুলের মধ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমজমাট সোশ্যাল মিডিয়া। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে সহজে এবং দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। তাই আমরা যেমন লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছি, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়াতেও। শতাব্দী ১৫ বছর এমপি থাকলেও এই কেন্দ্রের জন্য কিছুই করেননি। তিনি বলেছিলেন, আমাকে বিনা পয়সায় দেখতে গেলে ভোট দিতে হবে। মানুষ ভোট দিয়েছেন, কিন্তু তিনি দেখা দেননি। তারই প্রতিফলন ঘটছে সামাজিক মাধ্যমে। এব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সৌমেন ভকত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পই আমাদের ভোট প্রচারের ইস্যু। তাই তিনি যা যা করেছেন, সেগুলি প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির মতো জুমলাবাজি ট্রোল আমরা করি না। এখন যিনি গ্যারান্টি, গ্যারান্টি করে চিৎকার করছেন, তিনি যে পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি, সেটা সভা সমিতির পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ উন্নয়নের সঙ্গেই থাকবেন। বাংলাকে ভাতে মারার জবাব দিতে মানুষ প্রস্তুত।