প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
তাঁর জন্মদিবসের আগে এই অভিযোগ জানাজানি হওয়ায় অনেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন। পুরসভা এলাকার এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কৃষ্ণনাগরিকরা। নেতাজি ভবনের জমি দখলমুক্ত করে নেতাজি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র করার দাবি তুলেছেন অনেকে।
জানা গিয়েছে, নেতাজি ওড়িশার কটকের র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক বেণীমাধব দাসকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর প্রিয় ওই শিক্ষককে ওড়িশা থেকে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে বদলি করে দেয় ব্রিটিশ সরকার। বেণীমাধববাবুর টানেই কিশোর সুভাষ কৃষ্ণনগরে আসেন। কৃষ্ণনগরে তাঁর সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমন্ত সরকারের সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁরা কিছু মানুষকে নিয়ে ১৯১৩ সালে কৃষ্ণনগরের কলেজ স্ট্রিটে শ্রমজীবী মানুষের জন্য একটি নৈশ বিদ্যালয় শুরু করেন। সেখানে স্বয়ং সুভাষচন্দ্র বসু পড়াতেন। জমির মালিক দেবেন্দ্রনাথ সেনই নৈশ বিদ্যালয়ের প্রথম সম্পাদক হন। এই নৈশ বিদ্যালয় পরবর্তী কালে নেতাজি ভবন নামে পরিচিতি পায়। এই স্কুলটিতে একসময় ছোটদের পড়ানোও হতো। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। আট কাঠা জমির উপর হওয়া এই স্কুলটি কৃষ্ণনগর পুরসভার অধীনে ছিল। ১৯৮৯ সালে নেতাজি অনুধ্যান কেন্দ্র নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এই বাড়িটি দেখভালের দায়িত্ব দেয় কৃষ্ণনগর পুরসভা। শহরের কিছু বাসিন্দা বাড়িটি দেখভালের সঙ্গে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও বিভিন্ন আলোচনাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। এই সংস্থাটি পুরসভাকে খাজনাও দেয়।
তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি এখনও পুরসভার অধীনে আছে। বর্তমানে বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাব দেখা দিয়েছে। বাড়ির জমির উত্তরদিকে ও পশ্চিমদিকের পাঁচিলের বেশ কিছুটা ভেঙে নিজেদের মতো দেওয়াল দিয়েছেন বাসিন্দারা। বাড়িটিরও ভগ্নদশা। এব্যাপারে শহরের সাংস্কৃতিক কর্মী সুবীর সিংহরায় বলেন, আমরা স্কুলের জমি এভাবে বেহাত হতে দেখেও বসে আছি। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
আরও জানা গিয়েছে, নেতাজি যে চেয়ারে বসেছিলেন সেটি এখনও ওই বাড়িতে রাখা আছে। ২০০৩ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল শ্যামল সেনও ওই বাড়িতে এসেছেন। যদিও দুষ্কৃতীরা নৈশ বিদ্যালয় লেখাটি মুছে দিয়েছে বলে অভিযোগ। অনুধ্যান কেন্দ্রের পক্ষে খগেন দত্ত বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বারবার থানা, পুরসভা ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাও এখনও দখলমুক্ত করা যায়নি। আমরা চাই ওই বাড়ি দখলমুক্ত করে নেতাজি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।
পুরসভার প্রশাসক তথা কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যদি দখল হয়ে থাকে যত শীঘ্র সম্ভব দখলমুক্ত করা হবে।