কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোটের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য যোগাযোগ করলেও অনেকেই কাজ ছেড়ে আসতে রাজি হননি। অনেকে আবার ভোট দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ফলে গণতন্ত্রের উৎসবে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। রতুয়া-২ ব্লকের সম্বলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুরের বাসিন্দা রুহুল আমিন কেরলে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। বছর বত্রিশের যুবক ফোনে জানালেন, ঈদের পরে এখানে কাজে এসেছি। এখানে একটি কোম্পানির সঙ্গে দশ মাসের চুক্তিতে কাজ শুরু করেছি। জরুরি কাজ ছাড়া এরমধ্যে বাড়ি ফিরতে পারব না। তাহলে ভোট দিতে এলেন না? রুহুল বললেন, এর মধ্যে বাড়ি গেলে কোম্পানি টাকা কেটে নেবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও ভোট দিতে যেতে পারলাম না।
মুম্বইয়ে রয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রাঙ্গায়পুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলবেরুনি। ভোট নিয়ে নিরুত্সাহ তিনি। ভোট দিতে বাড়িও আসেননি। কারণ জানতে চাইলে টাকার প্রসঙ্গ তুললেন বছর ঊনত্রিশের আলবেরুনি। বললেন, বাড়ি যেতে আসতে হাজার দশেক টাকা খরচ হবে। তারওপর কয়েকদিন কাজ নষ্ট হবে। ভোট দিতে গেলে সেই টাকা কে দেবে? তাই ভোট দিতে গেলাম না। তিনি অনেকদিন ধরে মুম্বইয়ে রাস্তার পেভার ব্লক বসানোর কাজ করেন। আলবেরুনি বললেন, এখন এখানে কাজের খুব চাপ। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে হবে। কাজ ছেড়ে বাড়ি যাওয়া অসম্ভব। মালদহ জেলার ভোটারদের একাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার নেতারা পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিলেও লোকসভা ভোটে তা বিশেষ লক্ষ্য করা যায় না। যদিও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোটে বাড়ি ফেরার আর্জি জানিয়েছিলেন।
দিল্লি থেকে সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের জগন্নাথপুরের বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, ইচ্ছে থাকলেও ভোট দিতে পারলাম না। কোম্পানি ছুটি দেয়নি। দেড় মাস আগেই দিল্লি এসেছি। ব্লকের জামির ইসলাম, আকবর আলি, সেতাবুর রহমানের মতো ভিনরাজ্যে নানা কাজে যুক্ত শ্রমিকরাও ভোট দিতে না পেরে কিছুটা বিমর্ষ। তবে ভোটের থেকে নিজের কাজকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা।