কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
আজ, মঙ্গলবার কোনও প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কর্মী সমর্থকদের বুথ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারা মোথাবাড়ি এবং সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের বিধায়ক এলাকার মানুষদের পাশে থাকেননি। তাই এবারে কংগ্রেস এই বিধানসভায় ভালো ফলাফল করবে। কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃত্বর চিন্তা অন্য জায়গায়। কংগ্রেস নেতাদের আশঙ্কা, তৃণমূল সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে এই বিধানসভা এলাকার বুথগুলিতে ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখার চেষ্টা করতে পারে। পাশাপাশি বুথে নির্বাচনী এজেন্টদেরও ভয় দেখাতে পারে। তাই বুথের বাইরে কংগ্রেস কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরীর বক্তব্য, দক্ষিণ মালদহের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে কখনও খালি হাতে ফেরাননি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। দক্ষিণ মালদহের মানুষ সর্বদা কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন। ভবিষ্যতেও থাকবেন।
ঈশার দাবি, এই লোকসভা কেন্দ্রটিতে কংগ্রেস যে হারে উন্নয়ন করেছে তা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি। বিরোধীরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে গত বিধানসভায় জয়লাভ করলেও মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই ফের মানুষ কংগ্রেসমুখী।
কংগ্রেস নেতৃত্বর দাবি, প্রচারে দক্ষিণ মালদহের বিভিন্ন এলাকায় তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। তাই কংগ্রেসের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি রয়েছে। আমরা প্রচারে গিয়ে সেই ভীতি অনেকটাই দূর করতে পেরেছি। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিভিন্ন বুথে আমাদের এজেন্টকে বসতেও দেয়নি তৃণমূল। কিন্তু এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তাই এবার প্রতিটি বুথেই এজেন্ট দেওয়া হবে। বুথের ভিতরের পাশাপাশি বাইরের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস নেতা আকমাল হোসেনের কথায়, তৃণমূল যাতে কোনওরকম গণ্ডগোল বা ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারে তার জন্য কংগ্রেস কর্মীরা বুধ পাহারা দেবেন। কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করে কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখ বলেন, কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। তাই এসব বলছে।
কংগ্রেস নেতা আকমালের সংযোজন, তৃণমূল মানেই যে চোর তা মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই চোরেদের আর ভোট দেবেন না মানুষ।
ঈশা বলছেন, কংগ্রেসই একমাত্র সর্বভারতীয় দল যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। তাই মানুষ কংগ্রেসই ভোট দেবেন। সবমিলিয়ে গনিখানের পরিবারের উত্তরাধিকারী ঈশার কাঁধে মালদহ দক্ষিণের ভোটাররা ভরসার হাত রাখেন কি না সেটাই এখন দেখার।