ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে জাতপাতের বিষয়টিও দেখা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট ভাগ করতেই ওই কৌশল বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। এক্ষেত্রে শাসক দল তৃণমূলের দিকেই বিরোধীরা বেশি আঙুল তুলছে। যদিও ঘাসফুল শিবির অভিযোগ অস্বীকার করছে। এব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, আমরা জাতপাতের ভিত্তিতে রাজনীতি করি না। ফলে তার ভিত্তিতে ‘ডামি’ প্রার্থী দাঁড় করানোর অভিযোগ ঠিক নয়। তাছাড়া ভোটে লড়াই করার অধিকার সবার রয়েছে। ফলে কে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ১৫ এবং দক্ষিণ কেন্দ্রে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নির্দল প্রতীকেও অনেকে লড়াইয়ে নেমেছেন। বিপক্ষকে পরাস্ত করতে অনেক কৌশল অবলম্বন করা হয়। তারমধ্যে গোঁজ বা ডামি প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়টি অন্যতম। পঞ্চায়েত বা পুরসভার মতো তৃণমূল স্তরের নির্বাচনগুলিতে গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করানোর প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ডামি প্রার্থী দিয়ে বিপক্ষ শিবিরের ভোট ভাগ করানোর খেলা সমানে চলে।
মালদহের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, মূলত তিন ধরনের ডামি প্রার্থী খাড়া করে লোকসভা ভোটে বিপক্ষকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা হয়। সম্ভাব্য নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর নামের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন লোকজন খোঁজা হয়। সংশ্লিষ্ট দলের মতাদর্শের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন দলের খোঁজ করা হয়। এবং প্রতীকের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন দলকেও এক্ষেত্রে বাছাই করা হয়। তাঁদের প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজি করানোর পর প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়। এবিষয়ে মালদহ জেলা বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সঙ্গে কারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই। ডামি প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।