ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এদিন কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে রোড শো করেন দেব। রায়গঞ্জের হোটেলে থেকে বেরিয়ে শাহকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এইমসের ফাঁদে পা দেবেন না। দশ বছরের শাসনে বিজেপি কিছুই করেনি। নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে বিজেপির যে কালঘাম ছুটছে, সেটা আর আপনাদের বোঝানোর দরকার নেই। এরপরই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর আসন বদলানোর প্রসঙ্গ তোলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, গতবারের জয়ী সাংসদকে সরিয়ে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার পরেও নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকে দিয়ে জনসভা করাতে হয়েছে বিজেপিকে। সত্যি কথা বলতে শুধু বাংলার মানুষ নয়, ভারতবাসী বুঝে গিয়েছেন বিজেপির সরকার শুধু জুমলাবাজি করে। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং জেতার পর একটাও কাজ করে না। এটা গত দশ বছর ধরে দেখছি। এইমস দশ বছরে কেন করেনি? আসলে বিপদ বুঝে নির্বাচনের আগে ললিপপ দেখানো হচ্ছে।টানা দু’দিন রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন দেব। সভা, রোড শোয়ে জনগণের উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা দেখে তাঁর ব্যাখ্যা, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে নিশ্চিত তৃণমূল জিতছে। দেব বলেন, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটের মানুষকে একটাই কথা বলব, বিজেপির প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দেবেন না। আমাদের নেত্রী গত ১৩ বছর যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সব এক এক করে পূরণ করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সবুজসাথী সহ বহু প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমাদের নেত্রী রায়গঞ্জ, বালুরঘাট সহ বাংলার মানুষকে আগলে রেখেছেন। অবশ্যই কিছু না কিছু খামতি আছে। তবে সামগ্রিকভাবে আমাদের সরকার অনেক বেশি কাজ করেছে। যাঁরা উন্নয়ন নিয়ে সচেতন, তাদের ভোট যেন আমাদের দলের প্রার্থীর দিকে পড়ে, এটাই আমার অনুরোধ।
এদিন শেষমুহূর্তের প্রচারে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার শিমুলতলা মোড় থেকে রোড শো শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর সঙ্গে সুসজ্জিত গাড়িতে ছিলেন দেব ও জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। ভবানী মন্দির, গুপ্তপাড়া কালিবাড়ি সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঘুরে গণেশ টকিজে রোড শো শেষ হয়।
প্রচারের শেষদিনে নিজের শহর কালিয়াগঞ্জে সাইকেল র্যালি করেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। বিকেলে প্রচারের একেবারে শেষদিকে তিনি রায়গঞ্জ শহরে প্রচার করেন।
বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর) করণদিঘির রসাখোয়ার শিলিগুড়ি মোড় থেকে রসাখোয়া বাসস্ট্যান্ড হয়ে করণদিঘি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হুডখোলা জিপে রোড শো করেন। তাঁর সমর্থনে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্ট্রিট কর্ণার করে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।