ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিকরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। জোরপাটকির বাসিন্দা ইটভাটার শ্রমিক কমল বর্মন, ধীরেন সরকার বলেন, আরও মাস খানেক ইটভাটায় কাজ করতে পারতাম। লোকসভা ভোটের কারণে ভাটার মালিককে বলে চলে এসেছি। সেখানে আর এই মরশুমে যাচ্ছি না। তবে মালিক বলেছিলেন ভোট দিয়ে আবারও যেতে।
দলবেঁধে শ্রমিকরা ফিরতেই গ্রামগুলিতে প্রাণ ফিরেছে। মাথাভাঙা-১ ও শীতলকুচি ব্লকের হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার নিয়ে ভিনরাজ্যের ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে প্রতিবছ পুজোর পরপরই যান। সাধারণত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ শ্রমিকরা বাড়ি ফেরেন। এদিকে ঝড়বৃষ্টি না হলে অনেকে আরও দেরিতে আসেন। শ্রমিকরা জানান, এ বছর বৃষ্টির সমস্যা এখনও দেখা দেয়নি। ফলে অনেকে দেরিতে আসবেন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু এখানে প্রথম দফায় নির্বাচন হওয়ায় তাঁদেরও ভোট দিতে আসতে হল। ইটভাটার দেওয়া বাসে করে শ্রমিকরা ফিরছেন।
বৃহস্পতিবার এমনই একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গোবরাছড়ায়। পাঁচজন শ্রমিক জখম হন। তাঁরা দিনহাটার চৌধুরীরহাট, ওকড়বাড়ির বাসিন্দা। যদিও তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
শ্রমিকরা এলাকায় ফিরে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজখবরও নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে আইএনটিটিইউসি’র কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান বলেন, যাঁরা ভিনরাজ্যের ইটভাটায় কাজে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে গ্রামে ফিরছেন। প্রথম দফার ভোটের প্রচারের সময়সীমা শেষ হওয়ায় তাঁদের কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের সক্রিয় কর্মী যাঁরা আছেন, তাঁদের আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশীরা গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন। অনেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে এসে প্রার্থী ও ভোটের ব্যাপারে জানতে চাইছেন। বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য কনক বর্মন বলেন, ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা আগেই ফোনে যোগাযোগ করেছি। ওঁরা এলাকায় ফিরতেই আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছেন। আমাদের সঙ্গেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, সেব্যাপারে খোঁজখবর রাখছি।