বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজারে কার্যত গেরুয়া ঝড় বয়ে যায়। সেবার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী গোটা লোকসভা কেন্দ্রে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তারমধ্যে ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোট পান। একটি বিধানসভা থেকে মোট ভোটের এক তৃতীয়াংশ পাওয়া কার্যত নজিরবিহীন। ওই বিধানসভায় সেবার কংগ্রেস ও তৃণমূল যথাক্রমে সাড়ে ৩৭ হাজার ও সাড়ে ৩৮ হাজার ভোট পেয়েছিল। বিজেপির সঙ্গে ওই দুই দলের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক ছিল চোখে পড়ার মতো।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট কমে ১ লক্ষ ৭ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। তৃণমূলের ভোট অনেকটা বেড়ে যায়। সাড়ে ৩৮ হাজার থেকে তা বেড়ে হয় প্রায় ৮৮ হাজার। বিধানসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজারে বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে সিপিএম প্রার্থী দেয়। লালপার্টি সাকুল্যে ভোট পায় ১১ হাজার। তবে বিধানসভার পর পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল বড় সাফল্য পায়। এবারই প্রথম পুরসভায় তৃণমূল সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ঘাসফুলের জয়জয়কার হয়। যদিও কিছু জায়গায় শাসক দলের বিরুদ্ধে গাজোয়ারির অভিযোগও উঠেছিল। যদিও পঞ্চায়েত ও পুরসভার ফলাফল দেখে লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফল বোঝা যাবে না বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, ইংলিশবাজার শহর একসময় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু গত পুরভোটে আমরা সেই গড় ভেঙে তছনছ করে দিয়েছি। এত বেশি ওয়ার্ডে অতীতে আমাদের দল কোনওদিন জেতেনি। এবারও আমরা খুব ভালো ফল করব। ইংলিশবাজার বিধানসভার গ্রামীণ এলাকায় আগে থেকেই আমাদের মজবুত সংগঠন। সামগ্রিকভাবে ওই বিধানসভা থেকে জোড়াফুল প্রার্থীকে লিড দেওয়ার ব্যাপারে দল আশাবাদী।
বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তথা মিডিয়া শাখার ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ইংলিশবাজার থেকে লিড পাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে কী হয়েছিল, তা সকলেই দেখেছে। মোদিজির হাত শক্ত করতে ইংলিশবাজারবাসী এবার আমাদের পক্ষেই রায় দেবে। অবশ্য কংগ্রেসও ইংলিশবাজারে ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদী। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, এই শহরে গত কয়েকমাসে আমাদের সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্ররও দাবি, ইংলিশবাজারে তাদের সংগঠন ভালো। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড ও আশপাশের গ্রামে কংগ্রেসের ভালো ভোটার রয়েছে। ইভিএম খুললেই তা বোঝা যাবে।