যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার নাম সামির শেখ (৩৪)। সে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির অন্তর্গত শাহাবাজপুর অঞ্চলের বামুনটোলা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এই বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ জমা রয়েছে খবর পেয়েই বিষয়টি জানানো হয় সদর মহকুমা শাসককে। পরে কালিয়াচক-৩ এর বিডিওর উপস্থিতিতে জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়। তারপরেই অভিযান চালায় পুলিস।
জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুরো গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে মাদক আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও রুজু করেছে পুলিস। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
জেলার পুলিস আধিকারিকদের বক্তব্য, স্থানীয়স্তরে উত্পাদনের পর বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। কিন্তু খুচরো বাজারে ওই মাদকের মূল্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা হতে পারে। যে নগদ ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার উৎস জানতেও তদন্তে নেমেছে পুলিস। মাদক বিক্রির মাধ্যমেই ওই টাকা মিলেছিল বলে অনুমান। ধৃত ব্যক্তি শুধুই একজন মাদক পাচারকারী নাকি চাঁই, সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিস। জেলা পুলিসের একটি সূত্র অনুযায়ী ওই মাদক স্থানীয় ভাবেই উৎপাদন হয়েছিল। যে এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেখান থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুব কাছেই। সীমান্ত পার করে ওই মাদক বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না পুলিস আধিকারিকরা। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার মালদহে মাদক বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা ঘটলেও একসঙ্গে এই বিশাল পরিমাণ মাদক মজুত করার ঘটনা খুব সহজভাবে নিচ্ছেন না পুলিস আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁদের ভাবাচ্ছে, ওই বিপুল টাকার অঙ্কও। টাকা গোনার মেশিন সঙ্গে রাখার কারণও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতের সঙ্গে মাদক পাচার চক্রের আরও কারও যোগাযোগ আছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিস। সবমিলিয়ে এই বিপুল মাদক ও অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলায়। নিজস্ব চিত্র