নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এবারে ভোট প্রচারে সিপিএম তথা বামপ্রার্থীর সমর্থনে এই এলাকায় ছোট-বড় সভা, পাড়া বৈঠকে নজরকাড়া ভিড় ভোট বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের একাংশ। ২০১১ থেকে টানা তিনবারের সিপিএম প্রার্থী দিলীপ সিং বলেন, এবার প্রচারে যেভাবে মানুষের সাড়া পেয়েছি তাতে এবার আমাদের ভোট বাড়বে। বামেদের একটা ভোটও বিজেপি বা তৃণমূল পাবে না।
প্রকাশ্যে না বললেও বিজেপি নেতৃত্ব সেই আশঙ্কায় আতঙ্কিত। বামেদের ভোট হাতছাড়া হলে যে ভরাডুবি হবে তা বুঝতে পারছে বিজেপি নেতৃত্ব। গতবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি থেকে বিজেপি ৮৬ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। বামেদের ভোট পাওয়ার জন্যই যে এটা সম্ভব হয়েছিল, তা গত তিনটি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের হারই বলে দেয়।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮.২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃণমূল জিতেছিল। সিপিএম ৪১.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিজেপির ভোট ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। ২০১৬-তে তৃণমূল আসন ধরে রাখে ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে। সিপিএম পেয়েছিল ৩৬.৭৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি ১১.৭৬ শতাংশ ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি আসন এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি ৮৬ হাজার ভোটে লিড নেয়। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি সেই ধারা বজায় রাখে। ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি প্রার্থী শিখা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেবকে হারান। তৃণমূল পায় ৩৯.১ শতাংশ ভোট। সিপিএমের ভোট কমে ৬ শতাংশের কিছু বেশি হয়।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বামেরা ঢালাও ভোট দিয়ে এখানে বিজেপিকে শক্তিশালী করেছিল। এবার তা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ায় ব্যাপক হারে মানুষ এবার তূণমূলকেই ভোট দিয়েছেন। তারা বাম-রামের অশুভ আঁতাত আগেই ধরে ফেলেছে। গত পঞ্চায়েত ও শিলিগুড়ি পুরসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। এই দুটি ভোটের ফলের নিরিখে এই অঞ্চলে তৃণমূল প্রায় ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানকার মানুষ সিপিএম এবং তৃণমূলকে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বিজেপির সঙ্গেই আছেন। পঞ্চায়েত ও শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে মানুষ অবাধে নিজের ভোট দিয়েছেন। তাই আমরা চিন্তিত নই।