নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মালদহে মমতার সভার দিকে তাকিয়ে তাঁরা। জানা গিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদনও করেছেন কিষানরা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তারা প্রায় দেড় লক্ষ কিষানের সমস্যাটি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবে।
এসটি’র মর্যাদার দাবিতে মালদহে জেলা কিষান জাতি সেবা সমিতি নামে একটি সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছে। প্রশাসনের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরছে।
সংগঠনের দাবি, জেলায় মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় কিষান জনজাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা এলাকাতেও তাঁদের বসবাস রয়েছে। ইংলিশবাজার, পুরাতন মালদহেও কিষান জনজাতির মানুষ রয়েছেন।
মালদহ জেলা কিষান জাতি সেবা সমিতির জেলা সম্পাদক আশিস মণ্ডল বলেন, আমাদের এসটি মর্যাদা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আবেদনও করেছি। আমাদের কাজটি রাজ্য সরকারের হাতে। সংগঠনের নেতাদের আশা, এই দাবি পূরণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মালদহ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান বলেন, তাঁরা তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র চান। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
সংগঠনটির মনিকচক ব্লক সভাপতি বাবলু মণ্ডলের কথায়, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদের কথা দিয়েও কথা রাখেনি। ভোট এলেই আমাদের এসটির মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয়নি। সংগঠনটির মনিকচক ব্লক সভাপতির আশা, রাজ্য সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আশা করছি, তারা এটি করে দেবে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, কিষান জাতির বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি সেটা গুরুত্বসহকারে দেখতেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই তা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব।
মালদহে এই কিষান জাতির ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। কিষানদের এসটি মর্যাদার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনে তাঁদের ভোট জোড়াফুলের দিকে আনতে চাইছেন দলের নেতারা।
মালদহ জেলা কিষান জাতি সেবা সমিতির প্রাক্তন জেলা সভাপতি গোপালচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রমাণ, তথ্যাদি সংগ্রহ করেছি। আশা করছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতিরও মত, বিহার, ঝাড়খণ্ডের রেফারেন্স তুলে ধরে নেত্রীর কাছে বললে মনে হয় কাজটা হতে পারে। আমার জেলার পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে চলতে চাই।