মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে শুধু গঙ্গারামপুর নয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লটারি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা যুবকরা ছোট গাড়িটি দেখিয়ে টিকিট বিক্রি করতেন। টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। পুরস্কার হিসেবে তিনটি ছোট গাড়ি, একটি টোটো, চারটি মোটর বাইক সহ শতাধিক আকর্ষণীয় পুরস্কার তালিকায় রয়েছে। মঙ্গলবার লটারির ড্র’ এর দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অভিযোগ, সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও লটারি খেলা আয়োজনের কোনও প্রস্তুতিই ছিল না। আয়োজকরা জানায়, টিকিট বিক্রি না হওয়ায় খেলার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কবে খেলা হবে তা নিয়েও আয়োজকরা কিছু বলতে পারেনি। এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা পুরস্কারের জন্য রাখা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস প্রাণসাগর হাটখোলায় পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ছোট গাড়ির আগুন নেভাতে গঙ্গারামপুর থেকে দমকল ডাকে পুলিস। যদিও এনিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিস অবশ্য পাঁচ জনের নামে সুয়োমোটো মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিন পুলিস ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিস।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গঙ্গারামপুর প্রাণসাগর হাটখোলা এলাকায় বেসরকারি লটারি খেলা না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। একটি ছোট গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। লটারি খেলার কোনও বৈধ কাগজ ছিল না। আমরা আগে থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। পুলিসের তরফে সুয়োমোটো মামলা করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদালত ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।