ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মদনমোহন মন্দিরের রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, কর্ন্দপ পুজোর নিয়মকানুন সবই বিগত বছরগুলির মতো এবারও পালিত হবে। কিন্তু সাগরদিঘিতে নৌকা বিহার হচ্ছে না। করোনার কারণে লকডাউনে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই এবার তা বাতিল করা হল। তবে সাগরদিঘির জল এনে কাঠামিয়া মন্দিরের সামনে মদনমোহনকে স্নান করিয়ে প্রায়শ্চিত্য পর্বটি হবে। অতীতে এমনটা কখনও হয়নি।
কন্দর্প পুজোর অঙ্গ হিসেবে কামদেবের পুজোতে প্রথা অনুসারে ভাঙের নাড়ু দেওয়া হয়। কথিত আছে, সেই পুজোয় মদনমোহন অংশগ্রহণ করে ভাঙের নাড়ু খেয়ে মাংস ভক্ষণ করেছিলেন। বৈষ্ণব হয়ে মাংস ভক্ষণ করার কারণে তিনি অন্যান্য দেবতাদের পরামর্শে প্রায়শ্চিত্য করেন। সেই কারণে মদনমোহন সাগরদিঘিরতে স্নান করতে যান। প্রতিবছর শোভাযাত্রা করে মন্দির থেকে কিছুটা দূরে সাগরদিঘিতে মদনমোহনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নৌকা বিহার হয়। তা দেখতে সাগরদিঘি চত্বরে কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। সকাল থেকে দিঘি সংলগ্ন এলাকা সাজসাজ হয়ে ওঠে। সেখানে বাণেশ্বর ও ষাণ্ডেশ্বরের শিব সহ রাজমাতা মন্দির, ডাঙ্গরআই মন্দিরের মদনমোহন সকলকেই নিয়ে আসা হয়। এবার ওসব কিছুই হচ্ছে না।
কাছারির ঘাট থেকে মদনমোহনকে সাগরদিঘিতে নামিয়ে ঘোরানো হয়। পরে মন্দিরে এনে মহাস্নান করানো হয়। সেখানে দুয়ারবক্সি, রাজপুরোহিত উপস্থিত থাকেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে জমায়েত হওয়া যাবে না। তাই পণ্ডিতদের বিধান নিয়ে ও দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অনুমতি অনুসারে এই সিদ্ধান্ত হয়। তবে সাগরদিঘি থেকে জল এনে কাঠামিয়া মন্দিরের সামনেই গামলায় জল রেখে তা দিয়ে মদনমোহনকে স্নান করানো হবে। তা দেখতে ভক্তরা এলেও যাতে কোনওভাবে সামাজিক দূরত্ব ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে মন্দির কর্তৃপক্ষ।