মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বিজেপি’র পুরনো কর্মীদের অভিযোগ, জেলা কমিটির নতুন মুখদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছে যাঁদের কোনও দিন দলের ঝান্ডা হাতে নিতে দেখা যায়নি। দলের মিছিলেও তাঁদের হাঁটতে দেখা যায়নি। অথচ সরাসরি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের ঠাঁই হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, দলের পুরনো মুখ হেমন্তবাবু লটারির উপমা দিয়ে আসলে এভাবেই দলের নতুন জেলা কমিটির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দলীয় কাজে কলকাতায় থাকায় হেমন্তবাবুর ওই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার কোনও বক্তব্য মেলেনি। তবে দলের জাতীয় পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুণধর দাস বলেন, বিজেপি একটা সমাজ সংস্কারক দল। তাই অতীতে দলের সংস্পর্শে না এলেও দলের বৈভব বাড়াতে সমাজের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে দেওয়া হয়।
দলের জেলা সহ সভাপতি নারায়ণ মন্ডল অবশ্য বলেন, হেমন্তবাবুর ফেসবুকে পোস্ট করা লেখাটি দেখিনি। তাই এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে দলের নতুন জেলা কমিটি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। এসব অপপ্রচার।
আর হেমন্তবাবু কারও নাম না করে বলেন, দলের পুরনো কর্মীরা দলের দুর্দিনের সময় থেকে শাসক দলের অত্যাচার, মিথ্যা পুলিসি মামলাতে এবং দলের উপেক্ষা বঞ্চনাতেও দলত্যাগ করেননি। অথচ যাঁরা কোনওদিন দলের ঝান্ডা ধরেনি ও দলের মিছিলে হাঁটেনি তাঁরা হঠাৎ করে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ঠাঁই পায় কি করে সেটাই লটারির উপমা দিয়ে দলকে সতর্ক করেছি। দলের যারা পরীক্ষিত পুরনো কর্মী যারা দুর্দিনেও দল ছেড়ে অন্য দলে যাননি এই ঘটনায় আখেরে তাঁরা হতাশ হবেন। এতে দলেরই ক্ষতি হবে।
ফালাকাটা সহ গোটা জেলা জুড়ে বিজেপি’র পুরনো নেতা-কর্মীরা ফেসবুক পোস্টে হেমন্তবাবুর ওই লেখাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপি’র পুরনো নেতা কর্মীদের দাবি, ফেসবুক পোস্টে ওই লেখার মাধ্যমে হেমন্তবাবু তাঁদের মনের কথাই তুলে ধরেছেন।