পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
বাম আমলে কয়েকশো স্টল নিয়ে তৈরি হয়েছিল মার্কেটটি। শুরু থেকেই ওই মার্কেট ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট মার্কেটিং বোর্ডের আওতাধীনে রয়েছে। সেই থেকে বোর্ডের নিয়ম অনুসারে স্টল হস্তান্তর আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রশাসনিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুরু থেকেই রেগুলেটেড মার্কেটে স্টলের মালিকানা হস্তান্তর, বিক্রির প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। তাতে রাশ টানতে একাধিকবার উদ্যোগী হলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত নাকাল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত বছরের (২০১৮)নভেম্বর মাসে অবৈধভাবে হস্তান্তরিত হওয়া স্টলগুলিতে তালা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। সেই মতো একাধিক স্টলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে বেআইনি কারবার। প্রকাশ্যে আসে স্টল হস্তান্তর হওয়ার গোপন তথ্য।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের একটি স্টল ২০০৮ সাল থেকে একজনের নামে ছিল। তবে ২০১৮ সালের শেষদিকে স্টলের মালিকানা আচমকা পরিবর্তন হয়ে স্টলের মালিকানা পান অন্য একজন। উল্লেখযোগ্য প্রথমজনের নামে মাত্র ৯০ স্কোয়ার ফুটের একটি স্টল নথিভুক্ত থাকলেও হস্তান্তরিত হওয়ার সময় ওই ব্যক্তির নামে বরাদ্দ হয় ৯০ স্কোয়ার ফুটের স্টল সহ ১০০ স্কোয়ার ফুটের একটি বারান্দাও। যদিও চুক্তিপত্রে বাকি ১০০ স্কোয়ার ফুটের বারান্দা বাবদ কোন ভাড়ার উল্লেখ নেই। প্রশ্ন উঠছে যদি কর্তৃপক্ষ ওই নয়া চুক্তি বানিয়ে থাকে তবে ভাড়া বাবদ বাকি ১০০ স্কোয়ার ফুটের কথা কেন উল্লেখ করা হল না ওই চুক্তিপত্রে? এছাড়াও প্রশ্ন ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট মার্কেটিং বোর্ডের নির্দেশ লঙ্ঘন করে কীভাবে নয়া চুক্তিপত্র তৈরি হল? কীভাবে রাতারাতি মালিকনা বদল হল? এবিষয়ে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের সচিব দেবজ্যোতি সরকার বলেন, এবিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। যা বলার চেয়ারপার্সন বলবেন।
আরএমসি সূত্রে জানা গিয়েছ, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসনিক নিয়ম লঙ্ঘন করে দেদার বিক্রি ও মালিকানা বদল হয়েছে মোট ৬২ টি স্টলের। আর সেই মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে নয়া নথিতে মার্কেট কর্তৃপক্ষের চেয়ারপার্সন থেকে শুরু করে সচিবের সই রয়েছে। অন্যদিকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যে স্টলগুলিতে তালা ঝোলানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে সেগুলিরও মালিকানা বদল হয়েছে সম্প্রতি। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে স্টলগুলিতে কর্তৃপক্ষ তালা ঝোলালো সেগুলির মালিকানা কীভাবে বদল হয়ে গেল রাতারাতি?