পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, বিজেপি নেতৃত্বের চক্রান্তের কারণেই ফালাকাটায় রেলের ওই মাঠে আমরা সভা করতে পারলাম না। শুক্রবার আমরা ডাকবাংলো ময়দানে সভা করছি। চক্রান্ত করে রেলের মাঠে সভা না করতে দেওয়ার জন্য আমরা দেখব ভবিষ্যতে জেলায় বিজেপি কোথায় জনসভা করে। পাল্টা তোপ দেগে বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, রাজ্যে বিজেপিকে কোথাও সভা করতে না দেওয়ার রাস্তা তো তৃণমূলই দেখিয়েছে। তাহলে শাসক দল কোন মুখে বিজেপিকে এই দোষারোপ করে? তাছাড়া ফালাকাটার রেলের ওই মাঠে সভা করার জন্য শাসক দল রেলের কাছে আগাম কোনও অনুমতিই নেয়নি। সেটাই রেলকে জানানো হয়েছে। অনুমতি না নিয়ে তৃণমূল গায়ের জোরে ওই মাঠে সভা করতে চেয়েছে।
শনিবার ফালাকাটার মাদারিহাট রোডে রেলের ওই মাঠে জনসভা করে যান রাজনাথ সিং। আজ, শুক্রবার তারই পাল্টা জনসভা করার জন্য রেলের ওই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী কেউ অভিযোগ না করলে রেলের মাঠে যে কেউ সভা বা মিটিং করতেই পারে। সাধারণ ভাবে তাতে রেলের অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু কেউ অভিযোগ করলে রেল তাতে হস্তক্ষেপ করে। শাসক দলও তাই এই অনুমতি নেওয়ার আগেই রেলের ওই মাঠে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে। মঞ্চ তৈরির খবর পেয়েই বিজেপি’র তরফে বিনা অনুমতিতে মঞ্চ তৈরির জন্য রেলের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই বুধবার রাতে আরপিএফের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সভা নিয়ে আপত্তি করা হয়। তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে রেলের কাছে এই সভার জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে রেলের অনুমতি আসতে দেরি হবে ভেবে তৃণমূল শেষ পর্যন্ত রেলের মাঠ থেকে মঞ্চ সরিয়ে আনে ডাকবাংলো মাঠে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রভীর রমণ বলেন, তৃণমূল আমাদের ওই মাঠে সভা করার জন্য আবেদন করেছিল। সেই আবেদনপত্র উপর মহলে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক কমিটির ডাকে ডাকবাংলো মাঠে আজ, শুক্রবার এই জনসভা হচ্ছে। সেখানে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও বক্তব্য রাখবেন।