কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার ভূপিন্দর সিং হুডা, জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, কে সি বেণুগোপাল, অশোক গেহলট, অভিষেক মনু সিংভির মতো নয় নেতা সরব হয়েছেন। সম্মিলিত সই করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ভোটে এভাবে বিজেপির জয়কে জালিয়াতি বলেই তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, মানুষের রায়ে নয়। মেশিনের কারচুপিতে জালিয়াতি করে জিতছেন মোদি। সিস্টেমে কারচুপি হচ্ছে বলেই বিজেপি জিতছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও কংগ্রেসের তোলা কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হরিয়ানা ভোটের ফলাফলের পরেই ইভিএমের ব্যাটারি চার্জ কী করে ভোটের পাঁচদিন পরেও ৯৯ শতাংশ থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কারচুপির অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। যেসব কেন্দ্রের ইভিএমে ব্যাটারি চার্জ প্রায় ফুল ছিল, কাকতালীয় হলেও সেখানে হেরেছে কংগ্রেস। তাই মেশিন বদলে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের ইঙ্গিত করেই কমিশনকে সত্য অনুসন্ধানের আর্জি জানিয়েছিল কংগ্রেস।
সেই অভিযোগ পেয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, কোনও কারচুপি হয়নি। মেশিন ছিল একদম সঠিক। ব্যাটারিরও
কোনও সমস্যা ছিল না। কমিশনের এই জবাব পেয়েই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস পাল্টা চিঠি দিয়েছে। আক্রমণাত্বক ভাষায় বলা হয়েছে, এভাবে কমিশনের নিজেদের ক্লিনচিট দেওয়া মানছি না। নির্দিষ্ট করে যে ২০টি বিধানসভার অভিযোগ গুরুতর বলে দেওয়া হয়েছিল, তার কোনও উপযুক্ত জবাব কমিশন দেয়নি। ইভিএম কতটা নিরাপদ, তার একটা বিস্তারিত সাধারণ নোট দেওয়া হয়েছে। এটা কোনও জবাব হল?
কমিশনকে দেওয়া ওই চিঠি ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে আপলোড করে এআইসিসি মুখপাত্র পবন খেরার তোপ, প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ভগবান মনে করেন। আর তাঁর নির্বাচন কমিশন নিজেকে মনে করে ভগবানের আশীর্বাদ ধন্য। কংগ্রেস জানিয়েছে, হরিয়ানা ইস্যুতে চুপ থাকবে না। দলের তরফে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।