একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
খাগাড়িয়া লোকসভা আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী। তবে মূল লড়াই সিপিএমের প্রার্থী সঞ্জয়কুমার কুশওয়াহা আর বিজেপির জোটসঙ্গী এলজেপির (রামবিলাস) রাজেশ ভার্মার। দু’জনেই তরুণ নেতা। প্রথমবার ভোটে লড়ছেন। উন্নয়নের থেকে জাতপাতের রাজনীতিই খাগাড়িয়ায় সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। তাই শুধুমাত্র আদর্শের উপর ভিত্তি করে খাগাড়িয়ায় জেতা যাবে না মানছেন সিপিএম নেতারাও। সেই সমীকরণ মেনে প্রার্থীও দিয়েছে সব দল। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সঞ্জয় কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের আর রাজেশ সোনার (স্বর্ণকার) সম্প্রদায়ের।
খাগাড়িয়ার ১৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে তিন লক্ষ মুসলিম সম্প্রদায়ের। এছড়া ২.৬ লক্ষ যাদব সম্প্রদায় ও ১.৫ লক্ষ কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে। এলজেপি (রামবিলাস)-র প্রার্থী রাজেশের মূল ভরসা বিজেপি ও জেডিইউয়ের ভোটব্যাঙ্ক। অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী নির্ভর করছেন মূলত মুসলিম, যাদব সম্প্রদায় ও কুশওয়াহা ভোটের একাংশের উপর। এছাড়া খাগাড়িয়ায় প্রায় ২ লক্ষ মাল্লা (মত্স্যজীবী) ভোট রয়েছে। মাল্লাদের সংগঠন বিকাশশীল ইনসান পার্টির বিহারের বিরোধী জোটের সঙ্গী। তাই মাল্লাদের প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটও যেতে পারে সিপিএমের প্রার্থীর দিকে।
গত দু’বারের লোকসভা নির্বাচনে খাগাড়িয়া থেকে জিতেছিলেন অবিভক্ত এলজেপির চৌধুরী মেহবুব আলি কাইজার। সারা বিহারে এতদিন তিনিই ছিলেন এনডিএর মুসলিম মুখ। কিন্তু দু’বারের সাংসদ মেহবুবকে এবার আর টিকিট দেওয়া হয়নি। এলজেপি ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডিতে। প্রার্থী না হলেও সিপিএমের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ময়দানে নেমে পড়েছেন মেহবুব। ফলে তিনিও এবারের নির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর।
প্রত্যেক বছর বন্যা খাগাড়িয়া এলাকার অন্যতম বড় সমস্যা। পাঁচটিরও বেশি ব্লকের প্রায় ৬ লক্ষ বাসিন্দা প্রতি বছর বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েন। বন্য নিয়ন্ত্রণে কোনও সরকারই ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। জাতপাতের সমীকরণ ছাড়াও এলজেপি (রামবিলাস)-র প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেতে পারে তাঁর ‘বহিরাগত’ ভাবমূর্তি। তিনি খাগাড়িয়া জেলার বাসিন্দা না হওয়ার বিষয়টি প্রচারের হাতিয়ার করেছে সিপিএম। সঞ্জয়ের মতো তাঁর পরিচিতও নেই। তবে রাজেশকে হাল্কা করে নেওয়ার কারণ নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ খাগাড়িয়া রামবিলাস পাসওয়ানের জন্মস্থান। তাই এলজেপির প্রার্থী সেই আবেগের সুবিধা পেতে পারেন।