একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯ সালে অন্তর্বর্তী বাজেটে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় ও ইপিএফ এবং ইএসআইসির সদস্য নন এমন ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি শ্রমিকদের জন্যই এই প্রকল্প বলে জানান তিনি। সংসদে পীযূষ বলেছিলেন, ‘পাঁচ বছরে ১০ কোটি শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এটিই হবে বিশ্বের বৃহত্তম পেনশন প্রকল্প।’ জানা গিয়েছে, ২৯ বছর বয়সে কেউ এই প্রকল্পে প্রবেশ করলে মাসে ১০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। আর ১৮ বছরে প্রিমিয়ামের পরিমাণ মাসে ৫৫ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সম পরিমাণ অর্থ প্রিমিয়াম হিসেবে দেওয়া হবে। ৬০ বছর বয়স থেকে মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন পাবেন গ্রাহক। রাষ্ট্রায়ত্ত এলআইসিকে তহবিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দেখা যাচ্ছে, প্রথম বছরে ৪৩ লক্ষ শ্রমিক এই প্রকল্পে যোগ দেন। তারপরই মুখ থুবড়ে পড়ে এই প্রকল্প। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ৬১ হাজার শ্রমিক এই প্রকল্পে নাম লেখান। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার গ্রাহক প্রকল্প ছেড়ে বেরিয়ে যান। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৬ লক্ষ শ্রমিক আবার প্রকল্পে নাম লেখান। তবে কোনও বছরই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নূন্যতম এক কোটি গ্রাহক জোটানো যায়নি। কেন এই প্রকল্প থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন গ্রাহকরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চড়া মুদ্রাস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। তাই প্রিমিয়ামের সামান্য টাকাও জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন গ্রাহক। বিশেষ করে করোনা পর্বে কাজ হারানো বা বেতন কমে যাওয়া শ্রমিকরা করোনা পূর্ববর্তী সময়ের অবস্থায় ফিরে যাননি। ফলে তাঁদের পক্ষে এখন ওই টাকাও জমা দেওয়া একটা বিলাসিতা।