একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
ভোট রাজনীতিতে সিন্ধে পরিবারের তৃতীয় সদস্য প্রণীতি। এই সোলাপুর কেন্দ্র থেকেই ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৯ সালে সাংসদ হয়েছিলেন সুশীল। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তিনি হেরে যান। শুধু তাই নয়, ২০০৪ সালে প্রণীতির মা উজ্জ্বলা সিন্ধেও এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনিও জিততে পারেননি। সেই অর্থে প্রণীতির কাছে এবার সোলাপুর কেন্দ্রের লড়াই প্রেস্টিজ ইস্যু। দলগত দিক দিয়েও সোলাপুর বেশিরভাগ সময় কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে। ১৯৫১ সাল থেকে অধিকাংশ সময় সোলাপুর ছিল কংগ্রেসের। তবে ২০১৪ থেকেই সোলাপুর পদ্মময়। প্রার্থী ঘোষণার পরই জনসংযোগ বাড়িয়েছেন প্রণীতি। তিনি বলেন, ‘এই কেন্দ্রের আয়তন বিশাল। নানা সমস্যা রয়েছে এলাকায়। আমি সর্বত্র গিয়ে জনগণের সমস্যা খতিয়ে দেখছি। বিজেপির সময়ে সমস্যা অনেক বেড়েছে।’
সোলাপুর কেন্দ্রে গত দু’বারের জয় বিজেপির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। পাশাপাশি বিধানসভার ফলাফলও বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখবে। সোলাপুরে রয়েছে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র। এরমধ্যে মহল (তফসিলি জাতি) রয়েছে এনসিপির অধীনে। আর সোলাপুর সিটি সেন্ট্রাল কংগ্রেসের। বাকি সোলাপুর সিটি নর্থ, আক্কালকোট, সোলাপুর সাউথ এবং পান্ধেরপুরের বিধায়ক গেরুয়া দলের। তবে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের পর তাপ্তি নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের পতন ঘটেছে। উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা ভেঙে বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা। এনসিপি ভেঙে অনুগামীদের নিয়ে বিজেপি সরকারে যোগ দিয়েছেন অজিত পাওয়ার। তিনি এখন উপমুখ্যমন্ত্রী। দলবদলের এই খেলায় বিজেপির প্রতি অনেকেই বিরূপ। সেই ক্ষোভের আঁচ পোহাতে হবে বিজেপি প্রার্থী রাম মালসিরাসকে।
কর্ণাটকের সীমানা লাগোয়া সোলাপুরের অন্যতম সমস্যা পানীয় জল। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁরা সপ্তাহে একবার করে জল পান। পাশাপাশি বেকারত্ব রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সর্বত্র রয়েছে ছোট-বড় নানা শিল্প। ব্যতিক্রম সোলাপুর। এখানকার ‘সোলাপুর চাদরে’র নামডাক রয়েছে। শীত মরশুমে নকশা কাটা এই ব্ল্যাঙ্কেটের ওম অনেকটাই স্বস্তি দেয়। এই শিল্পও এখন ধুঁকছে। এলাকার যুবকদের কাজের সন্ধানে অন্যত্র যেতে হয়। সেই নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী রাম সাতপুতে বলেন, ‘এটা কংগ্রেসের অপপ্রচার। ৬৫০ কোটি টাকায় উজ্জয়িনী জলাধার থেকে সোলাপুর পর্যন্ত পানীয় জল প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার পানীয় জলের সমস্যা কমবে। জনগণকে সে কথাই বলছি।’