কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকার যে নিয়মনীতি ঘোষণা করেছে, তা বজায় রাখার উপর জোর দিয়ে নির্দেশে বলা হয়েছে, নয়া ব্যবস্থায় ব্যক্তি মানুষের শারীরিক অনুপস্থিতি আইনগ্রাহ্য বলে বিবেচিত হবে। বিচারব্যবস্থা যাতে জোরদারভাবে চালু থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থাকে হাইকোর্টগুলি প্রয়োজনমতো ব্যবহারের স্বার্থে সবরকম পদক্ষেপ করতে পারবে। কীভাবে এই ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাদের জন্য সবচেয়ে ভালোভাবে কার্যকর হতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টগুলিকেই নিতে হবে। এভাবে শুনানি চলাকালীন ছবি বা কথা শোনার ক্ষেত্রে কোনওরকম ব্যাঘাত হলে, যে কোনও পক্ষের অভিযোগ শোনার জন্য সব আদালতে রাখতে হবে হেল্পলাইন। এমন সমস্যা হলে, তখনই বা শুনানি শেষ হলেই সেই নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে। পরে করা অভিযোগ গ্রাহ্য হবে না।
কোনও রাজ্যের হাইকোর্ট যেভাবে বলবে, সেভাবেই সেখানকার জেলা আদালতগুলিতে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। যেসব বিচারপ্রার্থীর এমন ব্যবস্থা ব্যবহার করার সঙ্গতি বা সুযোগ নেই, তারা কীভাবে তা পাবে, তা আদালতগুলিকেই নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আদালত এজন্য আদালত-বান্ধব নিয়োগ করবে। যাঁর মাধ্যমে মামলাকারীর আইনজীবী ওই ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যতদিন না উপযুক্ত বিধি এজন্য তৈরি হচ্ছে, ততদিন এমন ব্যবস্থায় ট্রায়াল বা অ্যাপিলেট পর্যায়ে থাকা মামলার শুনানি করা যাবে। তবে ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত দুই পক্ষ সম্মতি না দিলে ‘এভিডেন্স’ রেকর্ড করা যাবে না। যদি এজলাসে এভিডেন্স রেকর্ড করা জরুরি হয়, তাহলে দেখতে হবে, এক ব্যক্তি থেকে অন্যজনের মধ্যে যেন পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় থাকে। এজন্য এজলাসে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে অল্প লোক ঢুকতে পারবে। সংক্রমিত ব্যক্তি ছাড়া। যদি মামলায় যুক্ত মানুষের সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে ওই অফিসার অল্প কয়েকজনকে এজলাসে ঢুকতে দেবেন। সম্ভব না হলে, শুনানি বন্ধ রাখতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও রায়ে বলেছেন, বিজ্ঞান ও কারিগরি ক্ষেত্রের উন্নয়ন ‘ভারচুয়াল কোর্ট’-এর দরজা খুলে দিয়েছে। একে অন্যকে ছুঁতে না পারলেও দূরের জনকে দেখা, তার বক্তব্য শোনা ও কথা বলার সুযোগ এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তার মাধ্যমে বিচারব্যবস্থাকে কার্যকর রাখা যাবে। বিরূপ পরিস্থিতিতেও আইনি ব্যবস্থার মূল কাঠামোকে ক্ষুণ্ণ না করেই। বিজ্ঞানের উন্নতিকে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা সব সময়েই কাজে লাগানোর ব্যাপারে উদ্যোগী। ‘ই-কোর্টস ইন্টিগ্রেটেড মিশন মোড প্রজেক্ট’ নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন সরকারি ‘ই-গভর্নেন্স প্ল্যান’ অনুযায়ী। যা পুরনো অনেক প্রতিবন্ধকতা এবং আইনি অনিশ্চয়তার বাধা পেরিয়ে ‘ভারচুয়াল কোর্ট’ ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করেছিল। সেই ব্যবস্থাকে এখন আরও এগিয়ে নিতে যেতে হবে।