মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দ্বিতীয় নাগপুর সাহিত্য সম্মেলনে এদিন বক্তব্য রাখেন বৈদ্য। তাঁর মতে, জাতীয়তাবাদ ভারতীয় ধারণা নয়। জাতি-রাষ্ট্রের পশ্চিমী ধারণা থেকে এর জন্ম। এর সঙ্গেই ফ্যাসিবাদের মতো মতাদর্শ এবং হিটলার ও মুসোলিনির মতো ব্যক্তিত্ব যুক্ত। ভারতে এই ধারণাটা হল রাষ্ট্রীয়তা। যা জাতি ও জাতীয়তাবাদের থেকে আলাদা। তাই রাষ্ট্রবাদ বোঝাতে জাতীয়তাবাদ কোনও গ্রহণীয় সমান্তরাল শব্দ নয়। ভারতীয় ধারণায় রাষ্ট্র অর্থে জাতি বোঝায় না। আমাদের কাছে রাষ্ট্রের অর্থ ভূগোল নয়, বরং মানুষ ও সমাজ। ভারতকে হামেশাই বিবিধ সংস্কৃতির দেশ বলে বর্ণনা করা হয়। সঠিক ধারণা হওয়া উচিত, ভারত এমন এক সংস্কৃতি যেখানে বিভিন্নতার উদ্যাপন হয়। সেকারণেই ভারত হল মূলত আধ্যাত্মিক ভিত্তির দেশ।
ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘সেকুলারিজম’ শব্দটির জন্মও পশ্চিমে, এটিও পশ্চিমী ধারণা। কেউ কেউ এটিকেই ধর্মনিরপেক্ষতা বলেন। আসলে ভারতে ধর্মের অর্থ ও ধারণাটাই আলাদা। এখানে ধর্ম হল জীবনের রাস্তা। ইংরেজি শব্দ ‘রিলিজিয়ান’-এর থেকে এর অর্থ আলাদা। ‘সেকুলারিজম’ সম্পূর্ণভাবে বাইরের ধারণা। তাই আমাদের সংবিধান রচয়িতারা সংবিধান তৈরির সময় ইচ্ছাকৃতভাবে এটিকে বাইরে রেখেছিলেন। পরে জরুরি অবস্থার সময় এটিকে সংযুক্ত করা হয়েছিল।