কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঁচটি সরকারি এবং দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় ২০০ কলেজ রয়েছে। কোর্স চলে ১৬৭টি। বিগত কয়েকটি সেমেস্টার ধরে, সমস্ত কলেজেই পরীক্ষা চলাকালীন লাইভ নজরদারি করছে বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যক্ষের ঘর বা পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘরও থাকছে নজরদারির আওতায়। ফাঁস হয়ে যাওয়া ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর কিছু আগে অনলাইনে প্রশ্ন পৌঁছয় কলেজগুলিতে। কলেজগুলি তা প্রিন্ট করে ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়। পড়ুয়াদের হাজিরা সংক্রান্ত তথ্যও বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে যায় অনলাইনেই। তারপর সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান। এর পরেই গোটা পরীক্ষাজুড়েই তিনি থাকেন সিসি ক্যামেরার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আওতায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে তাতে চোখ রাখেন পরীক্ষা বিভাগের কর্মীরা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ১০-১২টি কলেজে তাঁদের চোখ রাখতে হয়। উত্তরপত্র ডাকবিভাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর সেগুলি স্ক্যান করতে থাকে জনা পঞ্চাশেক কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিস্টেমেই তা পৌঁছে যায় পরীক্ষকদের কাছে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অধ্যাপকরাই পান খাতা দেখার দায়িত্ব। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারে স্ক্যান করা উত্তরপত্র খুলে তা মূল্যায়ন করতে পারেন। যাবতীয় কাঁটাছেড়া হয় ওই স্ক্যান করা উত্তরপত্রেই। পরবর্তীতে সেই মূল্যায়ন হওয়া উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি পেয়ে যান ছাত্র-ছাত্রীরা। কোনও আপত্তির জায়গা থাকলে, সেটা দেখে অভিযোগ জানাতে পারেন তাঁরা। পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্বে থাকা শুভাশিস দত্ত জানিয়েছেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রায় নির্বিঘ্নে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে কয়েকটি সেমেস্টার ধরে।
যদিও উদ্বেগের জায়গাও রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০টি কলেজ থাকলেও পড়ুয়া সংখ্যা সমস্ত সেমেস্টার মিলিয়ে নেমেছে দেড় লক্ষে। একেই বেসরকারি বিভিন্ন কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্য পেশাদার কোর্সে পড়ার ক্ষেত্রে অনীহা তৈরি হয়েছে। তার উপর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রায়ই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ধর্না, রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের রিলিজ লেটার ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক, সবই উঠে আসছে সংবাদে। এ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ছবি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।