কর্মে সংস্থাগত পরিবর্তন বা কর্মসূত্রে বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। কলাশাস্ত্রের চর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের খবর, মায়ানমার থেকে প্রতিদিন লরি লরি সেগুন কাঠ আসছে। মণিপুর ও আসামে প্রথমে ঢুকছে। এখানে লরি বদল হচ্ছে। নামানো চলছে কাঠের মোটা মোটা গুঁড়ি। এরপর প্রতিটি কাঠের উপর স্ট্যাম্প মারছে পাচারের সিন্ডিকেটের মাথারা। তাতে লেখা থাকছে ভারতের কোথা থেকে এই কাঠ নেওয়া হয়েছে। কোনও সংস্থার অনুমতি রয়েছে। গাছের অবস্থান কোথায় ছিল, উচ্চতা কত এবং গুঁড়িগুলির ওজন কত সবকিছুই লেখা থাকছে। এই সংক্রান্ত জাল কাগজপত্র তৈরি করছে চোরাচালানকারীরা। বনদপ্তরের জাল করা অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে লরি চালকদের। তাই নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে শিলিগুড়িতে ঢুকছে লরিগুলি। ফের এখানে লরি বদল করে নতুন গাড়িতে উঠছে সেই কাঠ। সেখান থেকে তা চলে আসছে কলকাতায়।
শহরে আসার পর হাইওয়ে লাগোয়া কোনও গোডাউনে এই কাঠ মজুত করে রাখছে চোরাচালানকারীরা। এখানে তৈরি করা হচ্ছে তারা কাঠ কার থেকে কিনেছে, তার জাল ইনভয়েস। এরপর সেসব চলে যাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা জানতে পারছেন, লরিতে করে মাল আনার সময় রাস্তায় যাতে বনদপ্তর, পুলিস বা কোনও তদন্তকারী সংস্থা কাঠ বাজেয়াপ্ত না-করে সেজন্য এই সমস্ত দপ্তরের কিছু কর্মীকে টাকার বিনিময়ে ‘ম্যানেজ’ করা হচ্ছে। বিপুল টাকায় এই কাঠ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা চোরাচালানের ব্যবসা হচ্ছে প্রতিমাসে। এর ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এর পিছনে যে সিন্ডিকেট রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে শুল্ক এবং জিএসটি দপ্তর। তদন্তকারীর সংস্থা সূত্রের খবর, কাঠ পাচারের আড়ালে যে বিপুল পরিমাণ টাকা রোজগার করছে চোরাকারবারিরা তা কোথায় বিনিয়োগ করেছে, তার তথ্য সংগ্রহ চলছে।