কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে বাহিনী মোতায়েনের একটি ফরম্যাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই ফরম্যাট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এডিজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে। সেখান থেকে জেলার পুলিস সুপারদের কাছে ওই ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে। সেই ফরম্যাট অনুযায়ী ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ফরম্যাটে বলা হয়েছে, একটি স্পর্শকাতর বুথে একজন লাঠিধারী কনস্টেবল এবং হাফ সেকশন অর্থাৎ চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয় এমন একটি বুথে থাকবেন দু’জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস। যেখানে দু’টি স্পর্শকাতর বুথ সহ প্রেমিসেস, সেখানে দু’জন লাঠিধারী কনস্টেবল সহ হাফ সেকশন, অর্থাৎ চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয়, এমন দুটি বুথ সহ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চারজন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। যেখানে তিনটি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনজন লাঠিধারী এবং এক সেকশন অর্থাৎ আটজন কেন্দ্রীয় বহিনীর জওয়ান থাকবেন। আর তিনটি বুথ রয়েছে অথচ স্পর্শকাতর নয়, এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ছ’জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। স্পর্শকাতর চারটি বুথ রয়েছে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চারজন লাঠিধারী কনস্টেবল এবং এক সেকশন, অর্থাৎ আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয় এমন চারটি বুথ সহ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আটজন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। স্পর্শকাতর পাঁচটি বুথ রয়েছে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পাঁচ লাঠিধারী কনস্টেবল এবং দেড় সেকশন অর্থাৎ ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয় এমন পাঁচটি বুথে ১০ জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। স্পর্শকাতর ছ’টি বুথ সম্বলিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ছ’জন লাঠিধারী কনস্টেবল এবং দেড় সেকশন, অর্থাৎ ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয় এমন ছ’টি বুথের কেন্দ্রে ১২ জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। সাতটি স্পর্শকাতর বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সাতজন লাঠিধারী কনস্টেবল এবং দু’সেকশন বা ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। স্পর্শকাতর নয় এমন সাতটি বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১৪ জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিসের জওয়ান থাকবেন।
এই ফরম্যাট তৈরি করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে পাঠানোর পর এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সব জেলাশাসকদের তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই ফরম্যাটে দেখা যাচ্ছে, সেক্টর, আরটি, এইচআরএফএস, নাকা, জোনাল ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্যাটিক সার্ভিল্যান্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, পিএস ডিউটি, পিএস স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাব ডিভিশনাল স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোল রুম, ডিস্ট্রিক্ট স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রার্থীর নিরাপত্তা, ভিআইপি’র এসকর্ট, ডিসিআরসিতে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস থাকবে। একমাত্র ক্যুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) এবং স্ট্রং রুম পাহারার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিউআরটি’তে একজন ইনস্পেক্টর এবং এক সেকশন অর্থাৎ আটজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। যাঁরা কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাবেন। আর স্ট্রং রুমে থাকবেন একজন ইন্সস্পেক্টর, তিনজন সাব ইন্সস্পেক্টর, ২৪ জন সশস্ত্র পুলিস এবং তিন সেকশন অর্থাৎ ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এদিনও বিজেপি’র পক্ষ থেকে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মালদহ সহ কয়েকটি জেলার পুলিসকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মতো জংলা পোশাক বিলি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাতটি পথনাটিকার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। চারটি গানের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি গান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।