কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি পুরসভার দক্ষিণ অংশের শেষ প্রান্ত পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় মিমি চক্রবর্তীদের বাড়ি। একই জায়গাতে তাঁর মামা সুব্রত চক্রবর্তীর বাড়ি। সেই অখ্যাত জায়গা থেকে উঠে আসা মিমি এখন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পর জলপাইগুড়ি মানুষের কাছে মিমির গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গিয়েছে। সেখানে আগে থেকে মিমির নামে একটি ফ্যান ক্লাব তৈরি হয়েছে। তার সদস্য সংখ্যা প্রচুর। সারা বছর মিমির সঙ্গে পরামর্শ করে নানা ধরনের সামাজিক কাজ করে। আপাতত এলাকার ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার প্রসারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ফ্যান ক্লাব থেকে সাত বিঘা জমি নিয়েছে পাণ্ডাপাড়াতে।
তার সম্পাদক অভিজিৎবাবু বলেন, ইতিমধ্যে মাঠ ঘেরাসহ পুরো পরিকাঠামো তৈরির জন্য মিমির সঙ্গে কথা হয়েছে। ভোট ঘোষণার আগেই এ নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন মিমি। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খেলার মাঠ হবেই। তিনি বলেন, মিমি প্রার্থী হয়ে প্রচারে নামার পর থেকে তার যাবতীয় কর্মসূচির উপর নজর রাখছে ফ্যান ক্লাব। বিরোধীরা কী বলছে, সেই তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বিরোধীদের মুখের উপর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে আমাদের সদস্যরা কলকাতায় যাদবপুর যাবেন। সেখানকার ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে মিমির এই সমস্ত কাজ।
অভিজিৎবাবু বলেন, মিমি পাণ্ডাপাড়ায় নিজের বুথে ভোট দেওয়া ছাড়াও জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে আসছেন। এছাড়াও তাঁর মামাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা। আমাদের সদস্যরা ঠিক করেছি, সেই সময় মিমির সঙ্গে কথা বলে যাদবপুরে প্রচারে যাওয়ার কর্মসূচি ঠিক করা হবে। পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা মিমির মামা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে ১৯ এপ্রিল। মিমির বাবা ও মা ১১ তারিখ কলকাতা থেকে চলে আসছেন। মিমিও আসছে। যতটুকু জানতে পেরেছি, আমার ভাগ্নি জলপাইগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণের হয়ে প্রচারে আসছে। এরপর নাগরাকাটাতেও দলের হয়ে আরও একটি প্রচারে যাবে। জলপাইগুড়িতে দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল ভোট। সেদিন মিমি এখানে পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ভোট দেবে। বিয়ের দিন থাকার কথা বলেছে। মামা হিসেবে খুবই আনন্দ আমার। তবে মিমি এলে ভয়ঙ্কর চাপ বেড়ে যায় আমাদের। এরমধ্যে মেয়ের বিয়ের ব্যস্ততা, নিমন্ত্রিত অতিথির আপ্যায়ণের পাশাপাশি মিমির ফ্যানদের চাপ কীভাবে সামাল দেব তা নিয়ে ভেবে পাচ্ছি না।